ওয়াশিংটন: লাদাখ সীমান্তে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে চিন৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে লাল ফৌজ৷ এমনটাই জানালেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও৷ চিনের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে ভারতের মিত্র আমেরিকার সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ‘বন্ধু’ দেশ পাকিস্তানে এবার নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপ টিকটক
মঙ্গলবার টোকিওতে কোয়াড গ্রুপের সদস্য (ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া) দেশেগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মাইক পম্পেও৷ এশিয়া ও গোটা বিশ্বে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি কী ভূমিকা হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পাশাপাশি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে চিন নিয়েও কথা বলেন তিনি৷ আমেরিকায় ফেরার পর সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাদাখ সীমান্তে চিনের আগ্রাসী মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেন তিনি৷ পম্পেও বলেন, ‘‘কোয়াড গোষ্ঠীর চার দেশই চিনা কমিউনিস্ট পার্টির হুমকির মুখোমুখি। প্রকৃত বিপদের সম্মুখীন ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। এর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট নীতি গ্রহণ করা হবে৷ চিনের বিরুদ্ধে ভারতের এই লড়াইয়ে আমেরিকাকে তাদের মিত্র ও শরিক করা উচিত৷’’
আরও পড়ুন- সরকারের ব্যর্থতায় করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়েছে: গ্লোবাল ইনডেক্স
ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাত প্রসঙ্গে পম্পেও বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে ভারতের উত্তরপ্রান্তে ইন্দো-চিন সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। যা সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে চিন ভারতের উত্তরপ্রান্তে বিপুল বাহিনী মোতায়েন করছে। লাল ফৌজের এই পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন বিদেশ সচিব৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন। ভারতীয় সেনা জওয়ানরা এ বিষয়ে অবগত৷ পাশাপাশি দক্ষিণ চিন সাগর ও এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে লালফৌজ৷ তাদের এই পদক্ষেপে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোতে। বেজিং এমনই পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে এই বিষয়ে আলোচনার কোনও সময়ই নেই এখন।’’ চিনের আচরণে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি অত্যন্ত বিরক্ত বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷