ওয়াশিংটন: প্রতিবেশী দেশের উপর ‘আগ্রাসী’ মনোভাব নিয়ে চলেছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি৷ চিনের ‘অনিয়ন্ত্রিত সশস্ত্র আগ্রাসনে’ই মৃত্যু হয়েছে ২০ ভারতীয় জওয়ানের৷ ফের চিনকে দুষে ভারতের পাশে দাঁড়ালেন আরও এক মার্কিন সেনেটার৷
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন সেনেটররা৷ বৃহস্পতিবার সেনেট ফ্লোরে দাঁড়িয়েই ভারতের সমর্থনে কথা বলেন টম কটন৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রতিবেশিদের উপর আক্রমণাত্মক আচরণ করছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি৷ ভারতের ঢুকে ভারতীয় জওয়ানদের হত্যা করেছে চিনা সেনা৷’’ আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও-রও দাবি, চিন সঠিক পথে এগোচ্ছে না।
অন্যদিকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কংগ্রেস সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তি এদিন এক বিবৃতিতে বলেন, এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়াবে আমেরিকা৷ ‘‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা প্রশমিত করার চেষ্টা করব আমরা৷ সেই সঙ্গে চিনের উদ্দেশে কড়া বার্তা, কোনও রকম আগ্রাসন বরদাস্ত করা হবে না৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারত আমাদের খুবই কাছের বন্ধু৷ চিনের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে আমরা ভারতের পাশেই থাকব৷’’ কৃষ্ণমূর্তির কথায়, ‘‘কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিকের ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে চিন৷ এই সংকটের সময় ভারতের বিরুদ্ধে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার৷’’
তবে শুধু ভারত নয়, দক্ষিণ চিন সাগরের দখল নিতেও উঠেপড়ে লেগেছে বেজিং৷ দক্ষিণ চিন সাগরের ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইনের জলসীমানার উপরও অধিকার ফলানোর চেষ্টা করে চলেছে চিন৷ সম্প্রতি ভিয়েতনামের মৎস্যজীবীদের উপর চিনা নৌবাহিনীর জাহাজের হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছিল সেদেশের বিদেশ মন্ত্রক৷ দক্ষিণ চিন সাগরে পার্সেল আইল্যান্ডের কাছে এই হামলার শিকার হয় ভিয়েতনামের মৎস্যজীবীদের নৌকা। প্রসঙ্গত, এই দ্বীপের উপর তাদের দাবি জানিয়ে আসছে চিন৷ এর আগে গত এপ্রিল মাসেও একই অভিযোগ করেছিল ভিয়েতনাম।
জাপানও চিনা উস্কানির অভিযোগ এনেছে। টোকিও জানায়, টানা ৬৬ দিন সেনকুকু দ্বীপপুঞ্জের সামনে নিজেদের নৌবাহিনী মোতায়েন রেখেছিল চিন৷ পূর্ব চিন সাগর অবস্থিত এই দ্বীপ জাপানের এক্তিয়ারে রয়েছে৷ ইন্দোনেশিয়ার জলসীমার মধ্যেও নাক গলানোর চেষ্টা করছে শি জিনপিং সরকার৷