উপচে পড়ছে হাসপাতাল, আশঙ্কাজনক রোগীদের ঠাঁই শ্মশানে! ভয়ঙ্কর চিত্র চিনে

উপচে পড়ছে হাসপাতাল, আশঙ্কাজনক রোগীদের ঠাঁই শ্মশানে! ভয়ঙ্কর চিত্র চিনে

বেজিং: আগে থেকেই একটি ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, চিনে ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে চিনে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ করোনা আক্রান্ত হবেন! সেই কারণেই প্রশাসন আগে থেকে সতর্ক হচ্ছিল। তাতে যে কোনও লাভ হয়নি তা স্পষ্ট। শেষ তথ্যে জানা গিয়েছিল, সেদেশে প্রতি দিন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষ। এখন জানা গেল, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে চিনের অনেক হাসপাতালে বেড তো দূর, কোভিড রোগীর মাটিতেও জায়গা হচ্ছে না। কিছু কিছু রোগীকে সরাসরি শ্মশানে নিয়ে গিয়ে রাখা হচ্ছে! আবার সেখানেও নাকি জায়গা হচ্ছে না সকলকে রাখার।

আরও পড়ুন: মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি হতে পারে তাপমাত্রা! ‘বম্ব সাইক্লোন’ আতঙ্কে আমেরিকাবাসী

বর্তমানে যে চিত্র ধরা পড়ছে লাল ফৌজের দেশে তাতে বোঝা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। অনেক করোনা আক্রান্ত রোগীদের আর হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না। আইসিইউগুলিতে উপচে পড়ছে রোগীতে। তাই বাধ্য হয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অনেক রোগীদের। পাশাপাশি যাদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাদের হাসপাতালের করিডরে রাখা বেঞ্চে বা মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা চলছে। এমনকি সেখানেও জায়গা দেওয়া না গেলে গুরুতর অসুস্থ কিছু রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সোজা শ্মশানে। তাজ্জব করার মতো বিষয়, শ্মশানও এমন রোগীতে উপচে পড়ছে। এছাড়া অক্সিজেন নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছে চিনে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

শুধু সংক্রমণ নিয়ে যে চিন্তা তা নয়, লাগাতার মৃত্যুও বাড়ছে চিনে। সাম্প্রতিক সময়ে হিসেব করে দেখা গিয়েছে, যে চুল্লিতে দিনে ৪ থেকে ৫ জনের দেহ পোড়ানো হত, সেইসব চুল্লিতে এখন দিনে প্রায় ৪০ জনের দেহ পুড়ছে! তাদের মধ্যে বেশিরভাগই কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত রোগী। ইতিমধ্যেই আবার চিনের বিরুদ্ধে কোভিড তথ্য লুকানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই নিয়ে আলাদা বিতর্ক।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *