নয়াদিল্লি: পড়শি দেশে ড্রাগনের নিঃশ্বাস৷ এবার ভুটানের মাটিতে ঘাঁটি গাড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে চিন৷ উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে লাল ফৌজের সেই কারসাজি৷ একটি বা দুটি নয়, ভুটানের মাটিতে কম করে চারটি গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে চিন৷
আরও পড়ুন- লেজ নিয়ে ভূমিষ্ঠ শিশু!
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে ভুটানে প্রায় ১০০ বর্গমাইল এলাকা দখল করে চারটি গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে চিন৷ ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই গ্রামগুলি গড়ে তোলা হয়েছে৷ এই এলাকাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত৷ ২০১৭ সালে ডোকলামে রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে যেখানে ভারত ও চিনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বেঁধেছিল, তার খুব কাছেই গড়ে তোলা হয়েছে এই গ্রাম৷ প্রসঙ্গত, ডোকলাম মালভূমি ভুটানের অন্তর্গত হলেও এই অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে বেজিং। তবে ভারতের কড়া অবস্থানের জেরে এখনও ডোকলাম দখল নিতে পারেনি চিন৷ বরং নিজেদের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে বেজিংকে৷
গতবছর জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল ভারত ও চিনের মধ্যে৷ এর পর সিকিম সীমান্তেও তৎপরতা বাড়িয়ে তোলে লালফৌজ। নেপাল সীমান্তেও বেড়েছে সেনা সমাবেশ৷ এবার ভুটানে ঢুকে গ্রাম তৈরির চাঞ্চল্যকর প্রমাণ মিলল৷ যা ভারতের কাছেও উদ্বেগের৷ কারণ, প্রতিবেশী ভুটানের বিদেশনীতিতে সাহায্য করে এসেছে ভারত৷ সে দেশের সেনা প্রশিক্ষণেও মদত করে আমাদের দেশের সেনা৷
বিশ্লেষকরা মনে করছে, ভুটানকে ভারতের প্রভাবমুক্ত করতে ছক কষছে চিন৷ সীমান্ত বিবাদ উসকে থিম্পুকে নিজের দিকে টানতে চাইছে বেজিং। এই পরিস্থিতিতে চিনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে ময়দানে নেমেছে নয়াদিল্লিও। উল্লেখ্য, ভারতের পড়শি দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ভুটানই এখনও পর্যন্ত চিনের ‘বেল্ট এণ্ড রোড’ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়নি৷ বিগত কয়েক দশক ধরে ক্রমাগত থিম্পুর উপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছে বেজিং৷ সেই চাপ অগ্রাহ্য করেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখেছে ভুটান। ভুটানের রাজ পরিবারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক বলা যায় মধুর৷ সেই সম্পর্ক ভাঙতে কোনও কসুরই রাখছে না লালচিন৷