বেজিং: ভারত দূরের কথা। খোদ আমেরিকার সমকক্ষ হয়ে উঠেছে চিন। সম্প্রতি পেন্টাগন থেকে প্রকাশিত একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে এমনটাই জানা গেছে। অস্ত্র, টেকনোলজি সব দিক থেকেই আমেরিকার সমকক্ষ বলা যেতে পারে চিনকে। শুধু তাই নয়, যতদিন যাবে ততই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে চিন। এমনটাও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে।
সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ বিষয় হল, চিনের গোটা কার্যক্রমই পরিচালিত হয় ভুগর্ভের অভ্যন্তরে। তাই গুপ্তচর স্যাটেলাইট লাগিয়েও বিন্দু বিসর্গ টের পায়নি মার্কিন গোয়ান্দারাও। আমেরিকা যখন উত্তর কোরিয়াকে শায়েস্তা করতে ব্যস্ত, সঙ্গোপনে নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডার মজবুত করে গেছে চিন। গোয়ান্দা রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, চিনের যো কোনও উপায়ে প্রযুক্তি হাসিল মনোভাবই আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিনের সেনাবাহিনী তার সকল প্রতিদ্বন্দ্বী এমনকি যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে।
পরিস্থিত এমন পর্যায়ে পৌঁছেছ, শুধু সামরিক বলেই প্রতিবেশী যেকোনও দেশের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে চিন। এমনটাও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টে। ক্লাসিফায়েড রিপোর্টে বলা হয় নেভাল ডিজাইন, মিডিয়াম ও ইন্টারমেডিয়েট রেঞ্জ মিসাইল এবং হাইপারসরিক অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে চিনের অগ্রগতি বিস্ময়কর।
২০২৫ সালের মধ্যে চিন নতুন ধরনের মিডিয়াম ও লং রেঞ্জ স্টিলথ বম্বার তৈরি করে ফেলবে যা পৃথিবীর যে কোনও লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখবে। আবার প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে বাঁচতে স্টিলের গুহাও তৈরি করে ফেলেছে সেদেশের অস্ত্র গবেষকরা। যা, যেকোনও সুপারসনিক, হাইপারসনিক মিসাইলও ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম।