করোনা আবহে কার্টুন-যুদ্ধে জড়াল চিন-আমেরিকা! ট্রাম্পকে কড়া জবাব

করোনা আবহে কার্টুন-যুদ্ধে জড়াল চিন-আমেরিকা! ট্রাম্পকে কড়া জবাব

বেজিং: নোভেল করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে যখন মার্কিন-চিন সম্পর্কের বিষয়টি ক্রমাগত জটিল হয়ে উঠছে এবং চিনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত সুর চড়িয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তখন রীতিমত বিদ্রূপ করেই এর যোগ্য জবাব দিলো চিন। করোনা নিয়ে শুরু থেকেই ট্রাম্পকে বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও বিষয়টিকে তিনি কত হালকাভাবে দেখেছিলেন “ওয়ানস আপন এ ভাইরাস” শীর্ষক একটি সংক্ষিপ্ত অ্যানিমেশনের মাধ্যমে এবার সেটাই প্রকাশ্যে আনল চিন।

এখানে দুই দেশের প্রতিনিধির ভূমিকায় আছে দুটি 'লেগো' (বিল্ডিং ব্লকস)র মতো চরিত্র। চিন সরকারের নিজস্ব সংবাদ মাধ্যম জিংহুয়া-র তরফ থেকে অনলাইনে পোস্ট করা এই অ্যানিমেশনে দেখা যাচ্ছে চিনের তরফে এক 'লেগো' করোনা যোদ্ধার চরিত্রকে যার মুখে মাস্ক আছে। বিপরীতে আমেরিকার তরফে রয়েছে 'স্ট্যাচু অফ লিবার্টি'। ওয়াশিংটন এবং বেইজিং করোনা মহামারীর উৎস সম্পর্কে বাক্ যুদ্ধে লিপ্ত, যার উৎস ছিল চিনের শহর উহান।

অ্যনিমেশনে দেখা যাচ্ছে- করোনা যোদ্ধা বলছে,  “আমরা একটা ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছি৷” 'স্ট্যাচু অফ লিবার্টি'র উত্তর, “তাতে কি হয়েছে? ওটা শুধু মাত্র একটা ফ্লু।’ যোদ্ধা চরিত্রটি ভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতা জারি করার পাশাপাশি চিনে এর প্রকোপের ভয়াবহতা তুলে ধরতে চাইছে, জবাবে 'স্ট্যাচু অফ লিবার্টি' ট্রাম্পের প্রেস কনফারেন্সগুলির প্রতিধ্বনির মাধ্যমে বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করছে, যেখানে তিনি অসুস্থতার ভয়াবহতাকে অস্বীকার করছেন।

যখন 'স্ট্যাচু অফ লিবার্টি' জ্বরে লাল হতে শুরু করে এবং তার সঙ্গে সেলাইন জুড়ে দেওয়া হয় তখন যোদ্ধা জিজ্ঞাসা করে “আপনি কি নিজের কথা শুনতে পাচ্ছেন?”  প্রসঙ্গত, করোনা নিয়ে ট্রাম্প চিনকে যতই কাঠগড়ায় দাঁড় করাক না কেন, খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও অভিযোগ ছিল যে, চিনে করোনার প্রাদুর্ভাব মারাত্মক আকার নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বের সমস্ত দেশকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই বিষয়টিতে আমল দিতে চাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বরং এই ভাইরাস উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে চিনের গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে বলেই নিজের দাবিতে অনড় তিনি। কিন্তু নতুন করোনা ভাইরাস যে চিনের ল্যাবে মানুষের তৈরি কোনো ভাইরাস নয় বরং প্রাকৃতিক সেবিষয়ে তার নিজের দেশ আমেরিকা থেকে শুরু করে বিশ্বের অন্যান্য দেশের একটা বড় অংশের গবেষকরাও সম্ভব্য তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেই দাবি করেছেন। এরপরেও নিজের দাবিতে অনড় ট্রাম্প  চিনের বিরুদ্ধে একের পর এক তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেই চলেছেন।