ওয়াশিংটন: সংক্রমণের নিরিখে এই মুহূর্তে ভারতের মতো আমেরিকার অবস্থাও তথৈবচ। তবে সামান্য হলেও একটু স্বস্তির খবর, সেরে ওঠা রোগীর দেহে খুব কম মাত্রায় ভাইরাস থেকে গেলেও তাতে পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। যদিও ভাইরাসের কম মাত্রা তিন মাস পর্যন্ত থাকে।
'সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন' ( সিডিসি, আমেরিকা) এর মতে প্রথম রোগ সনাক্ত হওয়ার পরের তিন মাস ভাইরাসের অল্প মাত্রা রোগীর শরীরে থাকলেও তারা নতুন করে কাউকে সংক্রমিত করেছে, এমন উদাহরণ নেই। কিন্তু পরীক্ষা করলে তাদের শরীরে ভাইরাসের স্বল্প মাত্রা হলেও মিলবে। সপ্তাহ শেষের সিডিসি'র শেষ প্রকাশিত গাইডলাইনে মিলেছে এমনই ইঙ্গিত।
” সার্স কোভ টু ( SARS- CoV2, কোভিড ১৯ হওয়ার জন্য দায়ী ভাইরাস) আক্রান্ত রোগী সেরে ওঠার পর তারা নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, এমন প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি “, জানাচ্ছে আমেরিকার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ, সিডিসি।
তবে তারা পাশাপাশি এটাও জানিয়েছে, তার মানে এই নয় যে, সেরে ওঠা রোগীর প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। ফলে তাদের মতে, তিন মাসের মধ্যে তাদের পুনরায় টেস্টের প্রয়োজন থাকছে না। অর্থাৎ, রোগীর দেহে ভাইরাস মেলা মানে, তা প্রথমবার সংক্রমণের কারণে। এমনকী সিডিসি এটাও জানিয়েছে, সামান্য উপসর্গের রোগীকে প্রথমবার পজিটিভ হওয়ার দশদিন পর্যন্ত ও ভালমাত্রার উপসর্গের রোগীকে পজিটিভ হওয়ার ২০ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে রাখলেই যথেষ্ট।
‘‘পাওয়া তথ্য অনুসারে কম লক্ষণযুক্ত রোগীর দশদিন পর সংক্রমণের ক্ষমতা থাকছে না। এমনকী ইমিউনো কমপ্রোমাইস রোগীও লক্ষণ থাকলেও ২০ দিন পর সংক্রমণ ক্ষমতা বহন করতে পারে না,’’ জানিয়েছে সংস্থাটি। সিডিসির এই নতুন গাইডলাইন মূলত ১৫ টি আন্তর্জাতিক ও আমেরিকায় প্রকাশিত ইনফেকশনের সময়সীমার উপর নির্ভর করে তৈরি।