কুইবে: তাপপ্রবাহের কারণে গত শুক্রবার থেকে এপর্যন্ত শুধুমাত্র কানাডার ভ্যাঙ্কুভারেই মৃত্যু হয়েছে ১৩৪ জনের। এই তাপপ্রবাহ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত আবহবিদরা। আবহবিদরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতির জন্য মানুষই দায়ী। বিশ্ব উষ্ণায়নের সাথে সাথে গ্রিন হাউস গ্যাস বৃদ্ধি পাওয়াকেও কারণ হিসাবে দেখিয়েছেন তারা। তবে এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন আবহবিজ্ঞানীরা। তা হলো তাপগম্বুজ বা হিট ডোম। এক হাজার বছরে একবার এধরনের ঘটনা ঘটে।
কী এই তাপ গম্বুজ? আবহবিজ্ঞানে তাপগম্বুজ বলতে উষ্ণ বায়ুর সুউচ্চ পাহাড়কে বোঝায়। এর মধ্যে ভীষণ আলোড়নের কারণে বিশাল তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে খুব জোরে বইতে থাকা এই উষ্ণ বাতাসে আরও বেশি তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। এর ফলে এই বাতাস দ্রুত প্রসারিত হওয়ার চেষ্টা করে। উল্টোদিকে, বায়ুমণ্ডল তার নির্দিষ্ট চাপ বজায় রাখতে সেই তরঙ্গকে এগোতে বাধা দেয়। ফলে এই উষ্ণ বায়ু একটি নির্দিষ্ট স্থানে আটকে থাকে। এইভাবেই তাপগম্বুজের সৃষ্টি হয়।
প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিম দিকে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরের অবস্থা এখন এমনই। যেকারণে কানাডার তাপমাত্রা পৌঁছেছে সর্বোচ্চে। আবহবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই সপ্তাহের মধ্যেই এই তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে পারে কানাডা।