স্বামীহারা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রয়াত ডিউক অফ এডিনবার্গ

স্বামীহারা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রয়াত ডিউক অফ এডিনবার্গ

 
এডিনবার্গ: চলে গেলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অফ এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। শুক্রবার বাকিংহাম প্যালেসের তরফে এই খবর ঘোষণা করা হয়। বাকিংহাম প্যালেসের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকালে এডিনবার্গ ডিউক উইন্ডসর ক্যাসেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

প্রায় একমাস হাসপাতালে চিকিৎসারত থাকার পর সবে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে গাড়িতে বসে হাসিমুখেই হাত নেড়েছিলেন৷ কে জানতেন, ওটাই শেষ৷ বাকিংহাম প্যালেসের তরফে শুক্রবার দুপুরে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়৷ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে রানি তাঁর স্বামী প্রিন্স ফিলিপ, ডিউক অব এডিনবার্গের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করছেন। আজ সকালে উইন্ডসর ক্যাসালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।’ প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর কথা রাজ পরিবারের সব সদস্যদেরও জানানো হয়েছে। ডিউক অফ এডিনবার্গের প্রতি শ্রদ্ধায় দেশের সব জায়গায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার। তাঁর শেষকৃত্য নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘোষণা হয়নি।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী হিসেবে গোটা বিশ্বে তাঁর পরিচিতি থাকলেও, ব্রিটেনের মানুষের কাছে তাঁর স্থান রানির পরই। ১৯৪৭ সালে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সেসময় ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সদস্য ছিলেন তিনি৷ তাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে রাজ পরিবারের রক্ষণশীলতাকে ভাঙতেও পিছপা হননি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁদের দীর্ঘ ৭৩ বছরের দাম্পত্য জীবন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের ইতিহাসে নজির হয়ে রয়েছে। কঠিন পরিস্থিতিতে রানির সবচেয়ে ভরসার জায়গা ছিলেন তাঁর স্বামীই৷ পুত্রবধূ ডায়নাকেও খুব পছন্দ করতেন ডিউক অফ এডিনবার্গ। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছাড়াও তিনি রেখে গেলেন চার সন্তান, আটজন নাতি-নাতনি ও ১০ জন পুতি-পুতনিকে। ১৯৪৮ সালে প্রিন্স অফ ওয়েলস প্রিন্স চার্লসের জন্ম হয়। প্রিন্স ফিলিপ গ্রিক আইল্যান্ড কোরফুতে ১৯২১ সালে জন্মেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + four =