ব্রিটেন: স্তনের বিকাশে বড় সহজেই পুরুষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়৷ আর সেই আকর্ষণ মেটাতে রানির রাজত্বে দানবিয় রীতি৷ যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের সম্ভাবনা রুখতে মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধি সময়ে স্তনের বিকাশ রুখতে উত্তপ্ত পাথর পিষে দেওয়ার অভিযোগ৷ যাতে তাদের স্তনের বিকাশ বিলম্বিত করা যায়৷ এমনকী যৌনাঙ্গে আঘাত করা হয়৷ ধর্ষণ রুখতে স্রেফ তীব্র যন্ত্রণাময় কিছু আঘাতের চিরকালীন স্মৃতি বুকে নিয়ে প্রতিবাদে সরব আফ্রিকার কয়েক লক্ষ মহিলা৷ দানবিয় এই রীতি ভাঙতে মরিয়া আন্দোলন মহিলাদের৷
‘কেম উইমেন অ্যান্ড গার্লস ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’(কাওগিডো) নামে অনাবাসী আফ্রিবানদের প্রধান মার্গারেট ন্যুয়দিজেউইরা জানালেন, আফ্রিকার মতো ব্রিটেনে অন্তত ১০০০ জন মহিলা ও নাবালিকার উপর ওই ‘ব্রেস্ট আয়রনিং’-এর নারকীয় ঘটনা ঘটেছে৷ এই ভুক্তভোগীদের নিয়ে কাজ করেন এমন এক জন আন্দোলনকারীও ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্যা গার্ডিয়ান’কে জানালেন, স্রেফ ‘ক্রয়ডন’-এই ১৫-২০টি এরকম ঘটনার কথা তিনি জানেন৷ আর এই রীতি ভাঙতেই ভুক্তভোগীদের নিয়েই গড়ে তুলেছেন আন্দোলন৷
কী সেই রীতি? বয়ঃসন্ধি সময়ে মেয়েদের একটি উত্তপ্ত পাথর দিয়ে স্তনের উপর বার বার করে জোর দিয়ে ঘষতে থাকেন৷ এই নারকীয় প্রক্রিয়া তত ক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে যত ক্ষণ না পর্যন্ত ‘টিস্যু’ ভেঙে যায় এবং স্তনের গঠন বিলম্বিত হয়৷ কিন্তু কেন এই ব্যবস্থা? যুক্তিটি বেশ অদ্ভুত। স্তনের বিকাশে বড় সহজেই পুরুষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হবে মেয়েটির দিকে। বাড়বে যৌন হেনস্থা, এমনকী ধর্ষণের সম্ভাবনাও। তাই যত বিলম্বিত করা যায় স্তন গঠনের প্রক্রিয়া, ততই নিরাপদে থাকবে মেয়েরা৷ এমন ভাবনা থেকেই ‘ব্রেস্ট আয়রনিং’।