সাও পাওলো: ফের কোভিড বিধি ভাঙার অপরাধে জরিমানার মুখে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইরে বলসোনারো। শনিবার ব্রাজিলের শহর সাও পাওলোতে বাইক মিছিল করার সময় মুখে মাস্ক না পরে ফের বিপাকে পড়লেন তিনি৷ কোভিডবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। তাই খোদ প্রেসিডেন্টকেও জরিমানা করতে ছাড়েনি সেদেশের প্রশাসন।
শনিবার সাও পাওলোতে বাইক মিছিলের অংশ নিয়েছিলেন বলসোনারো। মাথায় হেলমেট পরলেও, তার মুখে মাস্ক ছিল না৷ এখানেই শেষ নয়। কঠোর করোনাবিধির সমালোচনাও শোনা যায় প্রেসিডেন্টের গলায়৷ তিনি বলেন, ‘করোনা টিকা নেওয়ার পর, আর যাতে মাস্ক না পরতে হয়, তা নিয়ে আইন আনা হবে।’ বলসোনারোর কথায়, কোভিড টিকা নেওয়া হয়ে গেলেও মাস্ক পরাটা কার্যত অবৈজ্ঞানিক। কারণ টিকা নেওয়ার পর আর করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না৷ যদিও জনস্বাস্থ্য আধিকারিক কিংবা চিকিৎসকদের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকাই জারি করা হয়নি। বরং করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকা নেওয়ার পরও মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
প্রেসিডেন্টের মাস্ক না পরার বিষয়টি জেনেই কড়া পদক্ষেপ করেছেন সাও পাওলোর প্রশাসক তথা বলসোনারোর রাজনৈতির প্রতিপক্ষ জোয়াও ডাইরো৷ তিনি প্রেসিডেন্টকে জরিমানা করার নির্দেশ দেন। প্রেসিডেন্ট, তাঁর সঙ্গীর ছেলে ইদুয়ার্দো এবং পরিকাঠামো মন্ত্রী তারসিসিও গোমেজকে মাথাপিছু ১০৮ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। যার ভারতীয় মূল্য প্রায় ৮ হাজার টাকা। তবে প্রেসিডেন্টের করোনা বিধি লঙ্ঘন এই প্রথম নয়, এর আগে মারানহাও প্রদেশে জনসভা করতে গিয়ে একই কাজের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে৷ সেই সময়ও তাঁকে জরিমানা করা হয়। তার পরেও যে নিজের কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা নেননি বলসোনারো, শনিবারের ঘটনাই তার প্রমাণ।
উল্লেখ্য, পরের বছরই ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচন। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতা থেকে আর্থিক দুর্নীতির জেরে বলসোনারোর গদি টলমল করছে৷ প্রেসিডেন্ট পদে আসীন থাকতে এখন থেকেই দেশজুড়ে মিছিল, পথসভা করছেন প্রেসিডেন্ট। আর সেই সব সভায় করোনাবিধি লঙ্ঘনই যেন দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে।