লন্ডন: করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার হার বিবেচনা করে এবং হাসপাতালগুলিতে শয্যা বা চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করে দ্বিতীয়দফায় ফের একবার দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করতে চলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কারণে ইতিমধ্যেই ইউরোপের দেশগুলিতে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আরও একবার লকডাউন ঘোষণা করেছে ফ্রান্স ও জার্মানি৷ একই পথে হাঁটতে শুরু করেছে বেলজিয়ামও৷
করোনা সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ার কারণে এক বিন্দুতে এসে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। তারমধ্যেই দ্বিতীয়বার ফের দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করতে চলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মন্ত্রিসভার বর্ষীয়ান সদস্য এবং আমলাদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনাও সেড়ে ফেলেছেন তিনি। সম্ভবত আগামি সপ্তাহেই লকডাউনের ঘোষণা করতে পারেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী৷
সূত্রের খবর, শুক্রবার মন্ত্রিসভার বর্ষীয়ান সদস্যদের সঙ্গে করোনা সংক্রমণের হার এবং হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চ্যান্সেলর ঋষি শৌনক, স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক, সহ আরও অনেকে। ইতিমধ্যেই ওয়েলসকে লকডাউন জারি করা হয়েছে। ফ্রান্স ও জার্মানিও লকডাউন জারি করেছে, তবে দেশজুড়ে তা না করে অঞ্চল বিশেষে লকডাউন জারি করেছে তারা। অর্থাৎ যে জায়গাগুলিতে সংক্রমণের হার বেশি বা বিপজ্জ্নক অবস্থায় সেই জায়গাগুলিতে লকডাউন জারি করা হয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানিতে।
বিদেশ সচিব ডোমিনিক রাব বলেন, “আমরা মনে করি, যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি, যা শুধুমাত্র দায়সারা হবে না”। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের, যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে সরকারি একটি সূত্র এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, লকডাউনের ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
শুক্রবার সেদেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪,৪০৫ জন এবং নতুন করে ২৭৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ধীরে ধীরে ব্রিটেনে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে এই মহুর্তে লকডাউন করেই অতিমারীর মোকাবিলা করতে চান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। অন্যদিকে, শুক্রবার বেলজিয়াম সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইউরোপের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে বেলজিয়ামে৷ ফলে, এই করোনা রুখতে দ্বিতীয় লকডাউনের ঘোষণা করা হচ্ছে৷