লন্ডন: ব্রিটেনে কয়েক হাজার মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। এর ফলে নতুন যুক্তরাজ্যে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তাঁর ভারত সফর বাতিল করেছেন। কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী জনসন এই বছরের নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এটি ডিসেম্বর মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিদায় নেওয়ার পরে তাঁর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরও ছিল। তিনি গত মাসে আমন্ত্রণটি গ্রহণ করেছিলেন।
ডাউনিং স্ট্রিট কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে কথা বলেন। পরিকল্পনা অনুসারে তিনি এই মাসের শেষে ভারতে যেতে পারবেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গত রাতে ঘোষিত জাতীয় লকডাউনের পরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। নতুন করোনা ভাইরাসটি যে গতিবেগে ছড়াচ্ছে, তার ফলে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে তাঁর পক্ষে ব্রিটেনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে তিনি ভাইরাসের ঘরোয়া প্রতিক্রিয়ার দিকে মনোনিবেশ করতে পারবেন। নেতৃবৃন্দ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি তাদের অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে। দুই দেশের মধ্যে মহামারী নিয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।”
জনসনের সরকার ইংল্যান্ডের ৫৬ মিলিয়ন মানুষের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে, যা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ডিসেম্বর শেষে একদিনে ৮০ হাজার নতুন সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল ব্রিটেনে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তর মাঝে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এও বলা হয়েছিল যদি এখনই ব্যবস্থা না করা হয় তবে জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা আক্রান্ত হবে। মিঃ জনসন লকডাউন ঘোষণার সময় বলেছিলেন এটি সোমবার রাতে কার্যকর হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে ৬০ হাজারেরও বেশি নতুন মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।