করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আসতে চলেছে, সতর্ক করলেন গেটস

করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আসতে চলেছে, সতর্ক করলেন গেটস

 

নিউ ইয়র্ক:  করোনা অতিমারির বহু আগে থেকেই এই বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। ২০১৫ সালে ‘টেড টক’-এ তিনি বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারি তৈরি হতে পারে৷ যার জেরে মৃত্যু হতে পারে বহু মানুষের৷ মহামারীর জন্য আগাম তৈরি হওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি৷ আবারও সম্ভাব্য বিধ্বংসী জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকার আর্জি জানালেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- ফের মুখ পোড়ালেন ইমরান! কাশ্মীর ইস্যুকে রাষ্ট্রসংঘে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ পাকিস্তানের

সম্প্রতি একটি ব্লগে গেটস বলেন, ‘‘এই প্যান্ডেমিক যতটা ভয়ঙ্কর, জলবায়ু পরিবর্তন তার চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারে৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটবে তা যদি বুঝতে চান, তাহলে কোভিড পরিস্থিতির দিকে নজর দিন৷ কারণ, এর চেয়েও বেশি ভয়ানক হতে চলেছে আশু পরিস্থিতি৷’’ গেটস বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর হার প্রতি ১ লক্ষে ১৪ জন৷ কিন্তু যে ভাবে বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে তাতে মৃত্যুর হার এর চেয়েও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে৷ 

আরও পড়ুন – চাকরি না পেয়ে ‘চপ-শিল্পে’র দোকান খুললেন হবু শিক্ষক, ‘দিদি’কে উৎসর্গ SSC-PSC উত্তীর্ণ প্রার্থীর

তিনি বলেন, ‘‘আগামী ৪০ বছরের মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে প্রতি ১ লক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হবে৷ যা করোনা অতিমারিতে মৃত্যুর হারের সমান৷ কিন্তু এই শতকের শেষে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে৷ কার্বনডাই অক্সাইডের নির্গমনের মাত্রা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে৷ যার জেরে প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে ৭৩ জনের৷’’ ফলে মৃত্যুর হার করোনা মহামারির সমানও হতে পারে, আবার এর চেয়ে বহু গুণ বৃদ্ধিও পেতে পারে৷ গেটস বলেন, ‘‘২০৬০-র মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন করোনাভাইরাসের মতোই মারক হয়ে উঠতে পারে৷ কিন্তু ২১০০-র মধ্যে তা আরও পাঁচ গুণ বেশি মারক হয়ে উঠবে৷’’ 

আরও পড়ুন- রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সাংবিধানিক শর্ত ভেঙেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়েইসি

 

জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব অর্থনীতির উপরেও মারাত্মকভাবে পড়বে৷ মহামারির জেরে খরচও বৃদ্ধি পাবে৷ সারা বিশ্ব এখন যে পথে এগোচ্ছে, তাতে এই শতক শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *