“বন্ধু সঙ্গে এভাবে কথা বলা উচিত?”, ট্রাম্পের ‘ভারত নোংরা’ মন্তব্যের প্রতিবাদ বিডেনের

নিউ ইয়র্ক: ভারতকে 'নোংরা' বলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একহাত নিলেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ও ডেমোক্র্যাটিক রাষ্ট্রপতির প্রার্থী জো বিডেন। শনিবার ট্রাম্পকে ভারতকে 'নোংরা' আখ্যা দেওয়ার জন্য কটূক্তি করেছিলেন এবং তারপরই বিডেন বলেন, বন্ধু সম্পর্কে কখনও এমন কথা বলা উচিত নয়।

নিউ ইয়র্ক: ভারতকে ‘নোংরা’ বলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একহাত নিলেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ও ডেমোক্র্যাটিক রাষ্ট্রপতির প্রার্থী জো বিডেন। শনিবার ট্রাম্পকে ভারতকে ‘নোংরা’ আখ্যা দেওয়ার জন্য কটূক্তি করেছিলেন এবং তারপরই বিডেন বলেন, বন্ধু সম্পর্কে কখনও এমন কথা বলা উচিত নয়।

বিডেন একটি টুইট করে বলেছেন, “রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ভারতকে ‘নোংরা’ বলেছেন। এভাবে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা উচিত নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিশ্বজোড়া চ্যালেঞ্জগুলি কীভাবে সমাধান করবেন- এটা তার পথ নয়।” তিনি তাঁর ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্টের পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসকে উল্লেখ করে যোগ করেছেন, “কমলা হরিস এবং আমি আমাদের পা্টনারশিপ সম্পর্কে সচেতন। আমাদের বিদেশনীতির ক্ষেত্রে আমরা শ্রদ্ধা ফিরিয়ে আনব।”

বৃহস্পতিবার তাঁদের চূড়ান্ত প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে ট্রাম্প জলবায়ু সঙ্কটের বিষয়ে তাঁর রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা করেন। নিজেকে সাফ রাখতে গিয়ে তিনি ভারত, রাশিয়া ও চিনের উপর দোষ চাপিয়ে দেন। বলেন এই দেশগুলি অতিরিক্ত দূষণ সৃষ্টি করে। বলেন, “দেখুন চিন, কতটা নোংরা। রাশিয়াকে দেখুন। ভারতের দিকে তাকান, এটি এত নোংরা। বাতাস দূষিত।” ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানরা এবং বিডেনের সমর্থকরা এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হন ও প্রতিক্রিয়া জানান। দক্ষিণের এশিয়ানরা বিডেন নামে একদল সমর্থক টুইটারে বলে, “তাঁর বক্তৃতাটি বারবার প্রমাণ করেছে যে তিনি ভারতকে অবজ্ঞা করেন। যাঁরা দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন, সেই সব লোকদের অসম্মান করেছেন।”

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করতে দিল্লি সফরে এসেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার৷ তাঁদের দিল্লি সফরের ঠিক পরেই ভারতের সম্পর্কে এহেন মন্তব্য করলেন ট্রাম্প৷ খোঁচা দেন বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রতিরোধে ভারতের ভূমিকা নিয়েও৷ এছাড়াও প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে বিডেনের জলবায়ু পরিকল্পনাটি টেক্সাস এবং ওকলাহোমের মতো তেল রাজ্যের জন্য ‘অর্থনৈতিক বিপর্যয়’ বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷  তাঁর কথায়, আমেরিকার বাতাস সবথেকে শুদ্ধ৷ সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারত, চিন আর রাশিয়ার৷

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 2 =