ওয়াশিংটন: আজ, মঙ্গলবার নির্বাচিত হবেন আমেরিকার ৫৯তম রাষ্ট্রপতি৷ শুধু মার্কিন মুকুল নয়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সমগ্র বিশ্বজুড়ে৷ ডোলান্ড ট্রাম্প নাকি জো বাইডেন, উত্তর মিলবে আজই৷ আমেরিকাবাসী ইতিমধ্যেই তাঁদের ভোট দিয়েছেন৷
আরও পড়ুন- জঙ্গিহানায় রক্তাক্ত ভিয়েনা, এক সন্ত্রাসবাদী সহ মৃত ৩
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় দফায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিরে আসা যে সহজ হবে না সেই ইঙ্গিত মিলেছে শেয়ার বাজারে৷ শুক্রবার শেয়ার বাজারের পতনের পর সে কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ২০১৬ সালে এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচকের পূর্বাভাস ছিল যে হোয়াইট হাউসে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটরা পরাজিত হবে। এবার শেয়ার বাজারের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল প্রেডিক্টর’ বলছে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের পাল্লাই ভারী৷ এবারের ভোট জিতবেন তিনিই৷ এদিকে, ট্রাম্প আইওয়া স্টেটে এগিয়ে রয়েছেন এবং জাতীয় নির্বাচনে সামগ্রিক ভাবে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন৷ আবার বিবিসির সমীক্ষা বলছে, জো বাইডেন ৫২ শতাংশের মতো পপুলার ভোট বা সরাসরি জনগণের ভোটে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন৷ শুধু বিবিসি নয়, অন্যান্য প্রায় সব সমীক্ষাতেই এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন৷ সমীক্ষায় যে এগিয়ে থাকুক না কেন, আসল যুদ্ধ ইলেক্টরাল কলেজের ভোটে। তাতে যিনি ২৭০-এর ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারবেন, শেষ মুহূর্তে বাজিমাত করবেন তিনিই৷
২৬ থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে ডেস মাইনস রেজিস্টার এবং মিডিয়াকমের পক্ষে সেলজার অ্যান্ড কো পরিচালিত সমীক্ষায় ট্রাম্প ৪৮ শতাংশ পেয়ে এগিয়েছিলেন এবং বিডেন ছিলেন ৪১ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে, একই সমীক্ষায় দেখা যায়, ট্রাম্প এবং বিডেনের মধ্যে টাই হয়ে যায়৷ এবং দু’জনেই পৌঁছন ৪৭ শতাংশে৷ আবার সেপ্টেম্বরে আইওয়া সমীক্ষায় ট্রাম্প এবং বাইডেন ছিল সমান সমান৷
আরও পড়ুন- কোয়ারেন্টাইনে WHO প্রধান টেড্রস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাস
আইওয়া ২০০৮ ও ২০১২ সালে ওবামা-বিডেনের রাষ্ট্রপতি টিকিটের পক্ষেই ভোট দিয়েছিলেন৷ আবার ২০১৬ তাদের সমীক্ষায় এগিয়েছিলেন ট্রাম্প৷ তবে ২০১৬-র নির্বাচনে হিলারির চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ ভোট কম পেয়েও শেষ পর্যন্ত ইলেক্টরাল কলেজের ভোটে বাজি মাত করেছিলেন ট্রাম্প।
আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী চার বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তবে দু’বারের বেশি কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। সেই হিসেবে বারাক ওবামা, জর্জ বুশ কিংবা বিল ক্লিন্টন— কেউই আর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার৷