করোনার উৎস নিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছিল বেজিং, ইন্ধন দিয়েছিল হু

বেজিং: চিনা ভাইরোলজিস্ট ড. লি-মেনগ ইয়ান দাবি করেছেন যে মারাত্মক করোনা ভাইরাসটি ইউহানের একটি সরকারি পরীক্ষাগারে তৈরি হয়েছিল এবং তিনি আরও বলেছেন যে চিন সরকার কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে অবগত ছিল। সম্প্রতি নিউজ চ্যানেল ডাব্লিউইউএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন তিনি।

 

বেজিং: চিনা ভাইরোলজিস্ট ড. লি-মেনগ ইয়ান দাবি করেছেন যে মারাত্মক করোনা ভাইরাসটি ইউহানের একটি সরকারি পরীক্ষাগারে তৈরি হয়েছিল এবং তিনি আরও বলেছেন যে চিন সরকার কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে অবগত ছিল। সম্প্রতি নিউজ চ্যানেল ডাব্লিউইউএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন তিনি।

ডাব্লুআইইউনের এক্সিকিউটিভ এডিটর পালকি শর্মার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে চিনা ভাইরোলজিস্ট, যিনি উহানের প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবের সময় কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎস তদন্ত করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন যে তিনি উহানের একটি কভার-আপ অপারেশন আবিষ্কার করেছেন। তিনি এও বলেছিলেন যে চিন সরকার সর্বজনীনভাবে এটি স্বীকার করার আগে থেকেই এই ভাইরাসের বিস্তার সম্পর্কে জানত। ড. ইয়ান মতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) এটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য খুব চেষ্টা করেছিল। উহানের ওয়েট মার্কেটটি চিনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি স্মোকস্ক্রিন। ড. লি-মেং ইয়ান, যিনি হংকং স্কুল অফ পাবলিক হেলথের ভাইরোলজি এবং ইমিউনোলজিতে স্নাতকোত্তর ফেলো ছিলেন, তিনি বলেছিলেন যে তাঁর সুপারভাইজাররা তাঁকে আটকে রেখেছিলেন। 

আরও পড়ুন: KKR-কে হারিয়ে নিজের মনের কথা জানালেন মুম্বইয়ের যাদব

ইয়ান দাবি করেছেন যে চিন সরকার এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর খ্যাতি নষ্ট করতে তৎপর। তাঁর উপর সাইবার-আক্রমণ চালাতে এবং চিনে তাঁর পরিবারকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর চিনা ভাইরোলজিস্ট ড. লি-মেনগ ইয়ান দাবি করেছিলেন যে কোভিড-১৯ উহানের একটি পরীক্ষাগারে তৈরি হয়েছিল। ইয়ান, যিনি হংকং স্কুল অফ পাবলিক হেলথের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছিলেন। চাইনিজ ভাইরোলজিস্ট দাবি করেছেন যে তাঁর গবেষণার সময় তিনি জানতেন যে চিনে একটি পরীক্ষাগারে করোনা ভাইরাসটি বিকাশ লাভ করেছিল।

চিন যে করোনা ভাইরাসের উৎস তা অনেক আগে থেকেই বলেছিলেন একাধিক গবেষক। এনিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছিল। শুধু আমেরিকা নয়, বিশ্বের অধিকাংশ দেশই কাঠগড়ায় তুলেছিল চিনকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই ঢেউ ক্রমশ থিতিয়ে যায়। বর্তমানে কূটনৈতিক চাপানউতোরকে পাশে সরিয়ে করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিং তৈরির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে সব দেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 3 =