এবার রাষ্ট্রপুঞ্জে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের পথে বাংলা

এবার রাষ্ট্রপুঞ্জে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের পথে বাংলা

ঢাকা: মাতৃভাষার সংখ্যার বিচারে বাংলা ভাষা পৃথিবীর একটি শক্তিশালী ভাষা। রাষ্ট্রীয় পর্যায় বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী দেশের সংখ্যা মূলত একটি-বাংলাদেশ। সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। বিগত এক দশক ধরে বাংলাদেশ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বা অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ করার দাবি  বর্তমানে আরও জোরালো হচ্ছে। ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন দেশ তথা বিশ্বের বাংলাভাষী দের এই সুখবর দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ।

বর্তমানে রাষ্ট্রপুঞ্জের দাপ্তরিক ভাষা ছ'টি, ইংরেজি, ফরাসি, রাশিয়ান, স্প্যানিশ, আরবি এবং চৈনিক। রাষ্ট্রপুঞ্জের দৈনন্দিন কাজে এই ভাষাগুলির সমমর্যাদা সম্পন্ন। বাংলাদেশের এই দীর্ঘ প্রচেষ্টা সফল হলে রাষ্ট্রপুঞ্জের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বিবেচিত হবে  বাংলা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তথ্যমন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হল এই দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করা। রাষ্ট্রপুঞ্জের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলার স্বীকৃতির লক্ষ্যে সরকার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামি দিনেও এই তৎপরতা জারি থাকবে।' বলেও জানান হাসিনা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য। 

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলা ভাষাকে প্রকৃত অর্থে বিশ্বায়নের পূর্ণরূপ দেওয়ার জন্য এক অভাবনীয় উদ্যোগ নিয়ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার এই উদ্যোগের প্রথম বাস্তবায়ন হয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৭৪ সালে যখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × three =