নয়াদিল্লি: কোঝিকোড় দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন শোক প্রকাশ করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেছেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় তার সহকারী শাহরিয়ার আলম ভি মুরালিধরনের সঙ্গেও কথা বলেন। মোমেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে বলেছেন, “কোজিকোড়ে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানের দুর্ঘটনা সম্পর্কে আমি গভীরভাবে শোকাহত। ওই দুর্ঘটনা অনেক মূল্যবাণ প্রাণ নিয়েছে এবং অনেককে আহত করেছে। আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আক্রান্ত ও মৃতের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে।”
মোমেন, যিনি সম্প্রতি ভারত এবং মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন, তিনি নয়াদিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ককে “ঐতিহাসিক” এবং “পাথরের মতো দৃঢ়” বলে মন্তব্য করেছেন। মোমেন বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক, পাথরের মতো দৃঢ়। এটি রক্তের সম্পর্ক। অর্থনৈতিক সমস্যাগুলি মূলত চিনের সঙ্গে। আমাদের জয় ভারতের জয়। আমাদের উন্নয়ন ভারতের উন্নয়ন। এই (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্ককে কোনও কিছুই বাধা দিতে পারে না।” মোমন সম্প্রতি ভারতের চেয়ে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। এমন বক্তব্য নয়াদিল্লির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর মধ্যে একজন প্রাক্তন প্রবীণ বাংলাদেশ সেনা কর্মকর্তা অভিযোগ তুলেছেন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পর্ক মজবুত করতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের পক্ষে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তকে বন্ধ করে দেন। যার ফলে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের পণ্য পরিবহনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তিনি গত কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশে আটকে থাকা প্রায় ২ হাজার ভারতীয় নাগরিককে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছেন বলে অভিযোগ। এর মধ্যে আবার চিন বাংলাদেশের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
বলা হচ্ছে ভারতকে বাংলাদেশকে পাশে রাখার ক্ষেত্রে অগ্রসর হয়নি। বিশেষত মহামারী ও ভারত-চিন সম্পর্কের সময়। এদিকে ভারতীয় কর্মকর্তারা মালবাহী ট্রেন সহ বাংলাদেশে নতুন পরিবহন করিডোরের উন্নয়নে বিশেষভাবে উচ্ছ্বসিত। পশ্চিম রেলওয়ে সপ্তাহের শেষের দিকে এক বিবৃতিতে বলেছে যে এটি আহমেদাবাদ থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য একটি পার্সেল ট্রেন চালাবে। যা বাংলাদেশের বাজারকে ভারতীয় পণ্যগুলির ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করে। ফলে সড়ক পরিবহনের চেয়ে অনেক কম সময়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।