ভারত বাংলাদেশের যুদ্ধ? যুদ্ধাস্ত্র-সেনা রেডি!

দিল্লি: ভারত বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়াচ্ছে? পাকিস্তানের সাথে কি গোপন আঁতাত বাংলাদেশের?ভেতরে ভেতরে কীসের এতো তোড়জোড়?জবাব দিতে রেডি ভারত! রাজনাথ সিং এর ভয়ে কাঁটা নাকি বাংলাদেশ…

yunus modi

দিল্লি: ভারত বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়াচ্ছে?
পাকিস্তানের সাথে কি গোপন আঁতাত বাংলাদেশের?ভেতরে ভেতরে কীসের এতো তোড়জোড়?জবাব দিতে রেডি ভারত!
রাজনাথ সিং এর ভয়ে কাঁটা নাকি বাংলাদেশ সেনার টপ অফিসাররা?

ওই যে কথায় বলেনা? ভাবিয়া করিও কার্য, করিয়া ভাবিও না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই কথাটা এখন পুরোপুরি প্রযোজ্য। রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝেও, বেশ কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ জুড়ে ভারত বিরোধিতা একেবারে তুঙ্গে। আর শেখ হাসিনা সরকারের পতন, হাসিনার পদত্যাগ এসবের পর এই মাত্রাটা আরো অনেক বেশি বেড়ে গেছে। শুধু ভারত বিরোধিতা নয়, অ্যান্টি হিন্দু মেন্টালিটিও মারাত্মকভাবে ডেভেলপ করেছে ওপার বাংলার বুকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সামনে রেখে ভেতরে ভেতরে ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ার ছক কষা হচ্ছে বাংলাদেশ। যা ভারতের জন্য অবশ্যই চাপের বিষয়। আর এরই মধ্যে যে বিষয়টা আরো বেশি উদ্বেগের সেটা হল, বাংলাদেশের জমি ব্যবহার করে সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে নতুন করে জঙ্গি স্লিপার সেল খোলার উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। না এটুকুই নয়, আই এস আই এর এই পরিকল্পনায় ফুলফিল ইনভলভ আছে বা সহযোগিতা করছে ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত রাজাকার বাহিনীর সরকার। এমনকি জেল থেকে ছাড়া হচ্ছে একের পর এক কুখ্যাত জঙ্গিকে। আর এই সব কিছু ঢাকা এবং নয়া দিল্লির মধ্যে অলরেডি সংঘাতের আবহ।

খুব স্বাভাবিকভাবেই ভারত নিজের দেশের সেফটি সিকিউরিটি কে আগে প্রায়োরিটি দেবে। হ্যাঁ ঠিক এমন পরিস্থিতিতে তাই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিরেক্ট ইন্ডিয়ান আর্মি কে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছেন। এটা কিন্তু কোন ছোট ঘটনা নয়। ভারত বাংলাদেশ, যে দুটো দেশের মধ্যে গলায় গলায় ভাব, এত সুসম্পর্ক, যে বাংলাদেশকে ভারত সব সময় বন্ধুত্বের নজরে দেখেছে, আগলে রেখেছে, পাশে দাঁড়িয়েছে অসময়ে। যুদ্ধের জন্য তাদের মুখোমুখি দাঁড়ানো, এটা তো এমনি এমনি হতে পারে না। ভারত শান্তিপ্রিয় দেশ। তাই যুদ্ধ থেকে শতহস্ত দূরে থাকতে চায়। সেই ভারতকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। খেলা থেকে শুরু করে বন্যা, সবেতেই ভারতের উপর দায় চাপিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। ভারত বিরোধিতার আগুন জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের একাংশের মানুষের মনে। অথচ এখন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ইন্ডিয়ান আর্মিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলার পর বাংলাদেশের সেনার শীর্ষ আধিকারিকরা রীতিমত ভয় কাঁটা। অথচ পরিস্থিতি যাতে এই জায়গায় না এসে দাঁড়ায় তার জন্য এতদিন ধরে, এত মাস ধরে, এত বছর ধরে কোন পদক্ষেপ করতে দেখা গেছে কী? আলু পেঁয়াজ থেকে শিক্ষা চিকিৎসা, শপিং ভ্রমণ। যে ভারতকে বাংলাদেশের সবেতে প্রয়োজন সেই দেশটার যে একাংশ মানুষ ভারত বিরোধিতার মেন্টালিটি নিয়ে সেই কবে থেকে এগিয়ে চলেছে, দিনে দিনে সেটাই কার্যত বেড়েছে।

এখন জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সেনা সদর দপ্তরে পদস্থ আধিকারিকরা অলরেডি একটা বৈঠক সেরে ফেলেছেন। যশোর কুমিল্লা রাজশাহী রংপুর সেনানিবাসে কর্মরত সেনা আধিকারিক ও সেনা জওয়ানদের যাবতীয় ছুটি বাতিল করে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সার্বিয়া থেকে কেনা ৩৬ টি নোরা বি৫২, ১৫৫ মিমি স্বয়ং চালিত কামান, ৪৯ টি ডাবলু এস মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম, ট্যাংক বিধ্বংসী রাশিয়ান মেতিস এম ১, চিনা পিএফ ৯৮ সব একেবারে তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ভারতীয় সেনা বাধা সেনার যে প্রশিক্ষণ রয়েছে তার সাথে কোনোভাবেই পেরে ওঠা সম্ভব না না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনার প্রাক্তন ৩ প্রধান।

আর কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ভারত আর যাই হোক পাকিস্তানের মত শত্রু ভাবেনা বাংলাদেশকে। তাই যতই সেনাদের তৈরি থাকতে বলা হোক যুদ্ধ শুরু হওয়া এই দুটো দেশের মধ্যে এত সহজ কথা নয়। প্লিজ, গুজবে কান দেবেন না।