হাসপাতালে উপচে পড়ছে করোনা রোগী! ভয়াবহ অবস্থা আমেরিকা-ফ্রান্সে

হাসপাতালে উপচে পড়ছে করোনা রোগী! ভয়াবহ অবস্থা আমেরিকা-ফ্রান্সে

নিউইয়র্ক: বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের দাপট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে করোনার সুনামি আসতে চলেছে। ওমিক্রন নিয়েও তারা সতর্ক করেছিল। এখন দেখা যাচ্ছে সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে ধাপে ধাপে। আমেরিকা থেকে শুরু ফ্রান্স সহ একাধিক দেশে ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করেছে ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আমেরিকায় আক্রান্তের সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে, অন্যদিকে ফ্রান্সের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে করোনা রোগীর ভিড়। সব মিলিয়ে দুর্বিষহ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

আমেরিকায় ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ১০ লক্ষের বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই মুহূর্তে আমেরিকায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অন্যদিকে, ফ্রান্সে রবিবার যেখানে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৬৭ জন, সোমবার সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ২২ হাজার ৭৪৯-এ! ব্রিটেনের পরিস্থিতিও খুব একটা সুখকর নয়। সেখানেও হাসপাতালের পরিষেবা চালু রাখতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ইতালি, অস্ট্রেলিয়ার মত দেশেও করোনার বাড়বাড়ন্ত শিখরে। বলে রাখা দরকার, কিছুদিন আগেই ফ্রান্সে হদিশ মিলেছে করোনার নয়া প্রজাতি IHU-র৷ যার বিজ্ঞানসম্মত নাম B.1.640.2৷ যা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে৷ IHU-তে অন্তত করোনার ৪৬ টি মিউটেশন ঘটেছে। তবে এই নিয়ে আরও তথ্য বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার একদল বিশেষজ্ঞ বলছেন, মাঝেমধ্যেই করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলবে৷ তবে সব ভ্যারিয়েন্টের ক্ষমতা এক নয়।

আগে ওমিক্রন নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, ওমিক্রনকে হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই৷ সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে৷ হু-র কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল লিড মারিয়া ভ্যান কেরখোভ এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, কোনও কিছুকে অতি সহজভাবে নিলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। ডেল্টা আক্রান্তদের তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি অনেকটাই কম। তার মানে এটি ওমিক্রন কম বিপজ্জনক সেটা ভাবা ঠিক নয়। ওমিক্রন সাধারণ ঠান্ডা লাগা নয়৷ এটাও ভয়ঙ্কর৷ এর মারণ ক্ষমতাও রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *