বেটাডিনে গার্গলেই করোনা নির্মূল! সুখবর দিচ্ছে সিঙ্গাপুরে বিজ্ঞানীরা

বেটাডিনে গার্গলেই করোনা নির্মূল! সুখবর দিচ্ছে সিঙ্গাপুরে বিজ্ঞানীরা

 নয়াদিল্লি: করোনার কোপে সারাবিশ্ব। প্রতিষেধকের আসায় বিভিন্ন প্রান্তে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরফে আলাদা আলাদা গবেষণায় প্রতিষেধকের পরীক্ষা চলছে। কোনও প্রতিষেধক প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় রয়েছে। আবার কোনও কোনও গবেষণা সংস্থার প্রতিষেধক ইতিমধ্যেই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা পাশের আশায় রয়েছে। করোনার প্রতিষেধক নিয়ে এই বিভিন্ন গবেষণার মধ্যে এক নতুন খোঁজ দিলেন সিঙ্গাপুরের একদল বিজ্ঞানী।

তাঁদের দাবি বহুল প্রচলিত অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন বেটাডিন বা বেটাডাইন করতে পারে করোনা নির্মূল। গরম জলে বেটাডিন মিশিয়ে গার্গল করলেই ব্যস। নির্মূল হবে করোনার জীবাণু। সিঙ্গাপুরের ডিউক এনএসএস মেডিক্যাল স্কুলের গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সেখানকার গবেষকদের দাবি অ্যান্টিসেপ্টিক বেডিন নাকি ভয়ানক ভালো কাজ করতে সক্ষম করোনা প্রতিরোধে। ইনফেকশাশ ডিজিজ অ্যান্ড থেরাপি নামে একটি জার্নালে জুলাই মাসে এবিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ৯৯.৯ শতাংশ করোনা নির্মূল করতে পারে এই অ্যান্টিসেপ্টিক। চিকিৎসায় টপিক্যাল অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে বেটাডিন ব্যবহার করা হয়। এর উপাদানের মধ্যে প্রধান উপাদান হল পোভিডোন আয়োডিন। বলা হচ্ছে এগুলিই করোনার জীবাণু বিনাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তবে শুধু সিঙ্গাপুরের গবেষকরাই নয় জাপানেরও অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন করোনা চিকিৎসায় বেটাডিন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। গবেষকরা ৪১জন কোভিড রোগীর ওপর গবেষণা চালান।

তাঁদের প্রত্যেকের ওপর বেটাডিন প্রয়োগ করে দেখা হয়। এদের প্রত্যেকেরই স্বল্প উপসর্গ ছিল। গরম জলে বেটাডিন মিশিয়ে দিনে চারবার করে আক্রান্তদের গার্গল করানো হয়। ভীষণ ভালো ফল মেলায় গবেষকদের আশা বেড়েছে। যদিও বেটাডিন সংক্রান্ত গবেষণা এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সিঙ্গাপুরের গবেষকরা। তবে বহুল প্রচলিত এই ওষুধ করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হলে তুলনামূলক তৃতীয় বিশ্বের এবং গরীব দেশগুলি যথেষ্ট সুবিধা পাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 2 =