নিউইয়র্ক: আমেরিকান ডলার বিশ্বে অন্যতম ‘উঁচু’ বিষয়। এই ডলারের জোরেই পৃথিবীর নানা দেশ কার্যত নিয়ন্ত্রণ করে তারা, এমনটা বলা যায়। কিন্তু এবার সেই দেশই দেউলিয়া হতে চলেছে! সাম্প্রতিক যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে জানা গিয়েছে, আমেরিকার অর্থের ভাণ্ডার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রচুর ঋণে ডুবে রয়েছে জো বাইডেনের দেশ। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি কেন হল সে নিয়ে আলোচনা চলছে।
তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে-বিদেশে আমেরিকার ঋণের পরিমাণ ৩১.৪ লক্ষ কোটি ডলার। যে সব দেশ আমেরিকার কাছ থেকে টাকা পায় তার মধ্যে আছে ভারতও। বিশেষজ্ঞদের মতে, আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য না থাকার কারণেই মূলত এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এও মনে করা হচ্ছে, মূলত কোভিড অতিমারি এবং তার পরবর্তী সময়ে দেশ সচল রাখতে আমেরিকা যে নীতি বা পন্থা নিয়েছিল তা কাজে দেয়নি, উলটে হিতে-বিপরীত হয়েছে। আর আমেরিকা বরাবরই আয়ের থেকে বেশি ব্যয় করে। এই বেশি অর্থ তারা ঋণ থেকেই পায়। সেই ঋণের পরিমাণ এখন হয়েছে আকাশছোঁয়া।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মহাকাশ গবেষণায় ফের সাফল্য ভারতের! আকাশে উড়ল ইসরোর ‘অত্যাধুনিক’ স্যাটেলাইট” width=”853″>
এই মুহূর্তে সরকারের হাতে খরচ করার মতো কোনও টাকা নেই বলেই জানা গিয়েছে। তাই প্রশাসন এবং সরকার চালাতেও ঋণ নেওয়ার উপক্রম হয়েছে মার্কিন সরকারের। তাই জো বাইডেন দ্বারস্থ হচ্ছেন দেশের বিরোধীদের কাছেও। তাদের সহায়তায় দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছেন তিনি। ইতিহাস বলছে, ঋণ নিয়ে সরকার চালানো আমেরিকার রীতি। প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলে সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছিল। ঋণের পরিমাণ পৌঁছেছিল ৭.৬ লক্ষ কোটি ডলারে। তার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে নেওয়া হয় ৬.৭ লক্ষ কোটি ডলার। এছাড়াও ১৯৬০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৭৮ বার আমেরিকা নির্ধারিত ঋণের ঊর্ধ্বসীমা ছাপিয়ে গিয়েছে।