যুদ্ধ করতে চায়নি আফগান সেনা! তালিবানি দখলে সাফাই আমেরিকার

যুদ্ধ করতে চায়নি আফগান সেনা! তালিবানি দখলে সাফাই আমেরিকার

ওয়াশিংটন: দীর্ঘ কুড়ি বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে তালিবান। এর জন্য বিশেষজ্ঞ মহল কার্যত দায়ী করছে আমেরিকা এবং তার নীতিকে। কারণ কয়েক সপ্তাহ আগেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তারপর এই মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গোটা দেশ দখল করে নিয়েছে তালিবান। আমেরিকাকে এই ব্যাপারে দায়ী করা হলেও তাদের স্পষ্ট যুক্তি, আফগান সেনা আদতে যুদ্ধ করতে চায়নি। তারা এত তাড়াতাড়ি আত্মসমর্পণ করে দেবে সেটা বোঝা যায়নি প্রথমে। এমনই মন্তব্য করেছেন পেন্টাগনের এক শীর্ষ আধিকারিক। 

আফগানিস্তানের তালিবান দখল করে নিয়েছে তার জন্য আমেরিকা পরোক্ষে দোষ চাপাচ্ছে আফগান সেনাবাহিনীর ওপরই। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই করার অনিচ্ছা ছিল আফগান সেনার। তারা আদতে লড়াই করতেই চায়নি, তাই এত তাড়াতাড়ি গোটা দেশ দখল করতে পেরেছে তালিবান। এই ইস্যুতে আমেরিকা আরো জানিয়েছে, বিগত বছরগুলি ধরে আফগান সেনাবাহিনীকে যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়েছে মার্কিন সেনা, কাদের সামর্থ্য এবং শক্তি সব ছিল। কিন্তু তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইচ্ছা শক্তি ছিল না, সেই কারণেই এমন পরিণতি হয়েছে। এই কথা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে আমেরিকা কোনো ভাবে দায়ী স্বীকার করতে রাজি নয় এবং তারা আদতে দোষ চাপাচ্ছে আফগান সেনাবাহিনীর ওপর। উল্লেখ্য, আমেরিকার সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তালিবান দখল নিয়ে নিয়েছে আফগানিস্তানের। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন এবং যারা সেখানে আটকে রয়েছেন তারা প্রচন্ড ভীত এবং সন্ত্রস্ত। যদিও তালিবান নিজেদের পরিবর্তিত তালিবান হিসেবেই দাবি করছে। তারা স্পষ্ট জানাচ্ছে যে তাদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। 

আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা: হাইকোর্টের রায়ে নাখুশ সৌগত, মানুষ বিচার পাবে, বললেন দিলীপ

আমেরিকা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার ব্যাপক সমালোচনা করেছেন সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে আফগানিস্তান ইস্যুতে আমেরিকাকে তুলোধনা করেছে চিনও। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, আফগানিস্তানকে লন্ডভন্ড করে দিয়ে এখন সেনা তুলে নিয়েছে আমেরিকা। তবে তালিবানদের সমর্থন জানিয়েছে বেজিং সরকার, তাদের পাশাপাশি সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তান এবং রাশিয়া। এই কারণেই ভারতের চিন্তা আগের থেকে অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। কারণ অনেকেই মনে করছে যে এবার সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতকে আগের থেকে অনেক বেশি নজর দিতে হবে কারণ, জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটার আশঙ্কা অনেক প্রবল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *