টুইটারের মালিকানা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপানউতোরের শেষ নেই। তার মধ্যেই এবার বড়সড় অভিযোগ উঠল টেসলার কর্ণধার এলন মাস্কের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন একজন বিমানসেবিকা। ওই মহিলার অভিযোগ ২০১৬ সালে বিমানের মধ্যে তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয় এবং তাঁর মুখ বন্ধ রাখার জন্য টেসলা প্রধান তাকে দু লক্ষ৫০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে মাস্কের তরফ থেকে সেই টাকাও হাতে পান ওই বিমান সেবিকা। কিন্তু সম্প্রতি ঠিক করেন যে তিনি বিষয়টি সকলকে জানাবেন এবং সেই মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেন। তারপরেই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর বিষয়টি এবং ইতিমধ্যেই বিষয়টিকে নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে ওই মহিলা যিনি পেশায় একজন বিমানসেবিকা তিনি মাস্কেরই জেট সংস্থা SpeceX -এ কাজ করতেন। হঠাৎ একদিন তাঁকে কিছু না বলে তাঁর পায়ে হাত বুলাতে থাকেন মাস্ক এবং এর সঙ্গেই তাঁকে উত্তেজক মাসাজের বিনিময়ে একটি ঘোড়া কিনে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ওই মহিলা আরও জানিয়েছেন, বিমান সেবিকার চাকরির পাশাপাশি তাঁকে মাসাজ করার একটি বিশেষ লাইসেন্স পর্যন্ত নিতে হয়েছিল মাস্কের চাপে। সেই লাইসেন্স পাওয়ার পরেই তিনি মাস্কের একটি ব্যক্তিগত বিমানের ব্যক্তিগত মাসাজ কেবিনে তাঁকে মাসাজ দিতেন। এইরকমই একদিন মাসাজ দেওয়ার সময় মাস্ক ওই বিমান সেবিকাকে যৌন আবেদন করেন বলে অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়, ওই মহিলা আরও জানিয়েছেন ২০১৬ সালে একদিন মাস্ক তাঁকে ব্যক্তিগত ঘরে ডাকেন এবং ফুল বডি ম্যাসাজ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এরপর তিনি যখন মাস্কের ঘরে গিয়ে পৌঁছন তখন দেখেন মাস্ক সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে বসে রয়েছেন। তবে শরীরের নীচের অংশে একটি পাতলা কাগজ দিয়ে ঢাকা রয়েছে। কিন্তু ম্যাসাজ চলাকালীন আচমকা নিজের গোপনাঙ্গ উন্মুক্ত করে দেন এলন মাস্ক এবং ওই বিমান সেবিকার বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করতে থাকেন। সঙ্গে ঘোড়া কিনে দেওয়ারও প্রস্তাব দিতে থাকেন।
ইতিমধ্যেই অভিযোগ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তরফ থেকে লংমার্চকে প্রশ্ন করা হয়েছে তার উত্তরে তিনি বলেন, এই ঘটনার আরো অনেক বিষয় রয়েছে যা সম্পর্কে কেউ কিছুই জানেনা। অন্যদিকে মাস্কের অভিযোগ রাজনৈতিক কোন প্রভাবে এসে ঐ মহিলা তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন।