নিউইয়র্ক: বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই তিন লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে। এই ভাইরাসটির সর্বপ্রথম উদ্ভব ঘটেছিল চিনের উহান প্রদেশে। সেখান থেকে পুরো পৃথিবীকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। স্বাভাবিক ভাবেই দুনিয়াজুড়ে এই ভিয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হয়েছে চিনকে। একধাপ এগিয়ে সরাসরি এই নিয়ে সুর চড়িয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সরকার যেখানে তারা পাশে পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। সোমবার, ভারতীয় সময় দুপুর সাড়ে তিনটের সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৃহত্তম বৈঠক বসতে চলেছে। এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য কোরোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে সূক্ষ্ণভাবে তদন্ত করা। দু’দিন ব্যাপী এই বৈঠকটি চলবে কনফারেন্স কলের মাধ্যমে।
বৈঠকে অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা ছাড়াও আরও বহু দেশ যোগ দিচ্ছে। ভারতও আছে সেই তালিকায়। তবে এ নিয়ে স্পষ্টতই খুশি নয় বেজিং। অস্ট্রেলিয়ার পদক্ষেপে খাপ্পা হয়ে ইতিমধ্যেই সেদেশের গোমাংস আমদানি করা বন্ধ করে দিয়েছে তারা। চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত বছর এই ভাইরাসের আবির্ভাব এবং তার ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে সম্যক ধারণা গোপন করেছিল তারা। বরং তারা এর আবির্ভাব অন্য জায়গা বলে দাবি করে আসছিল। এমনকী কোভিড-১৯ এর উৎপত্তি স্থল আদতে আমেরিকা বলে মন্তব্য করেছিলেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের একাধিক আধিকারিক।
চিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা নিয়ে চলেছে অজি সরকার। গোমাংস রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়াকেও বিন্দুমাত্র পাত্তা দিচ্ছে না তারা। এই বিষয়ে দুনিয়ার প্রায় সমস্ত দেশের স্বাক্ষর জোগাড় করেছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল তেদ্রস আধানম ঘেব্রেইসুস-ও প্রবল প্রশ্নের মুখে। বৈঠকের খসড়ায় তাঁকে বলা হয়েছে পক্ষপাতহীন, স্বাধীন এবং বোধগম্য মূল্যায়ন করতে হবে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থাকে।