বোরখা পরে স্বামী, পুরুষতন্ত্রকে ‘উলঙ্গ’ করলেন পাকিস্তানি বধূ!

করাচি: এক পাকিস্তানী দম্পতি ট্যুইটারে দেওয়া তাদের ডিনার ডেটের ছবিতে এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজকে আরেকটি জোর ধাক্কা দিলেন এক অতি উপাদেয় ব্যাঙ্গের মোড়কে। তারা সম্প্রতি তাদের ডিনার ডেটের ছবি দেন ট্যুইটারে, ছোট্ট একটি মোচড় সহযোগে। ছবিতে, মহিলাকে দেখা যাচ্ছে সাধারণ পোশাকে ছবিটি নিতে, পাশে বসা তার সঙ্গীকে দেখা যাচ্ছে কালো বোরখায়, সমাজের বাঁধাধরা স্রোতের বিপরীতে গিয়ে।

বোরখা পরে স্বামী, পুরুষতন্ত্রকে ‘উলঙ্গ’ করলেন পাকিস্তানি বধূ!

করাচি: এক পাকিস্তানী দম্পতি ট্যুইটারে দেওয়া তাদের ডিনার ডেটের ছবিতে এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজকে আরেকটি জোর ধাক্কা দিলেন এক অতি উপাদেয় ব্যাঙ্গের মোড়কে।

তারা সম্প্রতি তাদের ডিনার ডেটের ছবি দেন ট্যুইটারে, ছোট্ট একটি মোচড় সহযোগে। ছবিতে, মহিলাকে দেখা যাচ্ছে সাধারণ পোশাকে ছবিটি নিতে, পাশে বসা তার সঙ্গীকে দেখা যাচ্ছে কালো বোরখায়, সমাজের বাঁধাধরা স্রোতের বিপরীতে গিয়ে।

তাদের এই ব্যাঙ্গাত্মক পোস্টের লক্ষ্য ছিলো, এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজকে ঘুরিয়ে একটি সজোরে চপেটাঘাত, যা নারীকে জয়যোগ্য সামগ্রীরূপে দেখতে অভ্যস্ত। এই দম্পতি তাঁদের পোস্টটি দিয়ে ছিলেন এই ক্যাপশন সহযোগে, “এই আমার সুন্দর বর। অবশ্যই, তার সৌন্দর্য তোমরা দেখতে পারবেনা, কারন আমি তা ঢেকে রাখতে বদ্ধপরিকর, কারনএকমাত্র আমিই তার সৌন্দর্যের দাবীদার। ওর জীবনের যাবতীয় জয়, স্বপ্ন,মায় ওর গোটা জীবনটাই ও বন্ধক রেখেছে আমার কাছে। যেহেতু, যেকোনো পরনারীর নজর লাগাও ওর জন্য পাপ, তাই আমি ওর বাড়ি তে থাকাই পছন্দ করি, কারন দিনকাল মোটেই ভালো নয়। যদিও, আমার সাথে বেরোলে ঠিক আছে”।

“গতকালআমি ওকে @madroostapkএ খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওখানে গেছিলাম কারন, ওরা স্টেরয়েডহীন বোরখা পরে স্বামী, পুরুষতন্ত্রকে ‘উলঙ্গ’ করলেন পাকিস্তানি বধূ!মাংস পরিবেশন করে, আমি আবার খুব স্বাস্থ্যসচেতন, বিশেষ করে এটা জানার পর থেকে, যে স্টেরয়েডযুক্ত মাংস কেমন ভাবে প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। আমি চাই না, কোনো ভাবে ওর প্রজনন ক্ষমতার ক্ষতি হোক, কারন, ওর বেঁচে থাকার অন্যতম কারন আমার বাচ্ছাদের জন্ম দেওয়া ও আমায় মা হতে সাহায্য করা। তাই, যাই হোক না কেন, ওকে আমি শুধু ওখানেই খেতে নিয়ে যাই”।

“ওর নম্রভাবে নিজেকে লুকিয়ে রাখা আমার খুবই পছন্দের, কারন ও খোলা সিন্দুকেরই সমান, এবং আমি চাই না কোনো ভাবে ও শ্লীলতাহানির শিকার হোক। এমনকি যদি ও হয়ও, আমরা এটা দুর্ভাগ্য বলে ভাবব, এবং আশা করব, যে আল্লাহ শেষে পাপীকে শাস্তি দেবেন”।

“আমি যদিও ওকে কাজে যেতে বা গাড়ি চালাতে অনুমতি দিয়েছি, কারন আমি সমানাধিকারের পক্ষে। যদিও, পরনারীর দিকে তাকানো বা কথা বলা কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না। স্ত্রী হিসেবে এটা দেখা তো আমার কর্তব্য, নইলে কেমন করে আমি জান্নাতে ৭২ জন ভার্জিনের সঙ্গে শুতে পারব? আমার মেডেলটা কোথায়?

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুলভাবে জনপ্রিয় হয় এই পোস্টটি, লক্ষাধিক সমর্থনে ভেসে যায় দম্পতির দেওয়াল।
সত্যিই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই ব্যাঙ্গ, সমাজের বস্তাপচা একপেশে মূল্যবোধের মুখে সজরে চপেটাঘাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + ten =