ইসলামাবাদ: পাক বিমানমন্ত্রীর একটা বেফাঁস মন্তব্য। আর তাতেই পাকিস্তানের সরকারি বিমান সংস্থাকে একবারে ক্ষতির দোড়গড়ায় এনে দাঁড় করাল। ইতিমধ্যে ইতিমধ্যএ ইউরোপের ছয়টি দেশ পিআইএয়ের বিমান বাতিল করেছে। এবার, সেই পথে হাঁটল আমেরিকা। পাক বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ট্রাম্প প্রশাসন।
করাচিতে বিমান দুর্ঘটনা হওয়ার পর, পাক বিমানমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশের ৪০ শতাংশ পাইলটেরই লাইসেন্স ভুয়ো। আর তার জেরেই পিআইয়ের কপালে দুর্ভোগ নেমে আসে। ফেডেরাল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পাকিস্তানের পাইলটদের লাইসেন্স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ১ জুলাই আমেরিকা এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে। তারপরে পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়টি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান খতিয়ে দেখছে। কূটনীতিক স্তরে এই বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও ইমরান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আগামী ছয় মাস ইউরোপে পিআইএয়ের সমস্ত বিমান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে ইউরোপের দেশগুলোতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা নেই বলেই জানী গিয়েছে।
মে মাসে পাকিস্তানে বিমান দুর্ঘটনায় ৯৭ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। এরপর পাক বিমানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সে দেশের ৪০ শতাংশ পাইলটের লাইসেন্সই ভুয়ো। তাঁরা কখনও কোনও পরীক্ষাতেই বসেননি। অথচ দিব্য পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের বিমান ওড়াচ্ছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে আন্তর্জাতিক মহল।