চট্টগ্রাম: শনিবার গভীর রাতে আগুন লেগেছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি কন্টেনার ডিপোতে। সেই বিধ্বংসী আগুন ইতিমধ্যেই প্রাণ কেড়েছে কমপক্ষে ৪৯ জনের। এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় ৩৬ ঘন্টা, কিন্তু এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি ডিপোর আগুন। আশঙ্কা করা হচ্ছে কন্টেনার ডিপোতে প্রচুর পরিমাণে মজুদ রয়েছে বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিক। আর তার জেরেই শনিবার মধ্যরাতে লাগা বিধ্বংসী আগুন সোমবার ভোরেও দাউ দাউ করে জ্বলছে। অন্যদিকে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অত্যন্ত সতর্ক ভাবে কাজ করতে হচ্ছে দমকল বাহিনীকে। আর তাই আগুন নেভাতেও সময় লাগছে অনেক বেশি, এমনটাই খবর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। দুর্ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরেও তাই জন্য আগুন কতক্ষণে নিয়ন্ত্রণে আসবে সে প্রসঙ্গে কিছুই বলতে পারছেন না দমকল কর্মীরা।
উল্লেখ্য শনিবার মধ্যরাতে হঠাৎই ওই কন্টেনার ডিপোতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। যে সময় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এ সময় ডিপোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ। অগ্নিকাণ্ডের এই আকস্মিক ঘটনায় তাদের অধিকাংশই বেরিয়ে আসার সময় পর্যন্ত পাননি। ফলে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৪৯ জনের। এখনও বহু মানুষ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এদিকে মৃতদেহের মধ্যে অধিকাংশই এখনো শনাক্ত করা সম্ভব যায়নি। এত ভয়াবহ ভাবে সেগুলি পুড়েছে যে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া সেগুলির সনাক্তকরণ কোনওভাবেই সম্ভব নয়। সোমবার ঐ সমস্ত দেহের ডিএনএ পরীক্ষার কথা। তারপরই মৃতদেহগুলি তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। অন্যদিকে বিএম কন্টেইনার ডিপো একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে অগ্নিকাণ্ডে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের ১০ লক্ষ বাংলাদেশী টাকা আর্থিক সহায়তা করা হবে এবং পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। অন্যদিকে যারা আহত হয়েছেন এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের ৬ লক্ষ বাংলাদেশী টাকা এবং একজনকে চাকরি দেওয়া হবে।
দমকল বাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রায় ৩৬ ঘন্টা ধরে আগুন নেভানোর অভিযান চললেও এখনও ওই ডিপোর ৬ থেকে ৭টি কন্টেনারে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। অন্যদিকে পঞ্চাশটি কন্টেনার থেকে এখনও ধোঁয়া উঠছে। এই বিধ্বংসী আগুনের জেরে পুরো এলাকা পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।