করাচি: দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের দেখা নেই। এদিকে প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রোগী। এমতাবস্তায় দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করার পরেও যখন কোন লাভ হল না তখন শেষমেষ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাতুড়ে ডাক্তারই শেষ ভরসা। আর সেই হাতুড়ে ডাক্তারই প্রসব করাতে দিয়েই ছিঁড়ে ফেললেন সদ্যোজাতের মাথা। মায়ের পেট থেকে টেনেহিঁচড়ে শিশুকে বের করতে গিয়ে সদ্যোজাতের মাথা ছিঁড়ে রয়ে গেল মায়ের গর্ভেই।
ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানে। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের একটি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্টাফের চূড়ান্ত অবহেলায় সদ্যোজাত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এমনকি শিশুটির মা, ওই এলাকারই স্থানীয় বাসিন্দা হিন্দু ওই মহিলার শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের থরপাকোড় জেলার গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। প্রসূতি ওই মহিলা স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা বলে খবর। সম্প্রতি মহিলার প্রসববেদনা উঠলে তাকে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেইসময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকায় হাতুড়ে কর্মীই ওই মহিলার প্রসব করানোর সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা পরেও যখন কোনও চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি তখন শেষমেষ ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরাও হাতুড়ে ডাক্তারের উপরই নির্ভরশীল হন। এরপরেই প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাতুড়ে কর্মী বলপূর্বক মহিলার প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। অনভিজ্ঞ হওয়ার কারণে স্বাস্থ্যকর্মীর টানাহেঁচড়ায় মহিলার পেটে তার সদ্যোজাতের মাথা রয়ে যায় বলে খবর। এই ঘটনায় সদ্যজাত ওই শিশুর মৃত্যু তো হয়েছেই, সদ্য মা হওয়া ওই প্রসূতিও এই মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে খবর।
ঘটনায় রীতিমতো তুলকালাম গোটা এলাকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। হাসপাতালের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, কর্তব্যে গাফিলতি প্রমাণিত হলে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে তাকে বরখাস্ত করা হবে।