ওয়াশিংটন: ‘ওল্ড ইস গোল্ড’ প্রবাদটিই যেন সত্যি প্রমাণিত হল এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে, যিনি সম্প্রতি একটি পুরনো সোনার পয়সা বিক্রি করে রাতারাতি ধনী হয়ে গিয়েছেন৷ একেবারে মিলিয়েনিয়ার৷
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে ২০ ডলারের একটি সোনার পয়সা নিলামে ওঠে৷ টাকার হিসেবে যার মূল্য ১৪০০৷ কিন্তু এই ছোট্ট পয়সাটি বিক্রি হল ১৩৮ কোটি টাকায়৷ এই পয়সাটি বিক্রি করে এত টাকা পেলেন জুতোর ডিজাইনার এবং সংগ্রহকারী স্টুয়ার্ট ওয়েজম্যান৷ এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷ ২০০২ সালে এই পয়সার মূল্য ছিল ৭.৬ মিলিয়ান ডলার৷ এর ভারতীয় অঙ্ক ৫৫ কোটি টাকা৷ তবে বছর কয়েক পরই ২০২১ সালে তারই দাম দাঁড়াল ১৩৮ কোটিতে৷ এই পয়সার দাম এত বেশি হওয়ার কারণ এটিই ইউএসতে শেষ ডাবল ইগল কয়েন৷ ১৯৩৩ সালে আমেরিকায় ডাবল ইগল কয়েন ছিল একমাত্র পয়সা যা দেশজুড়ে চলার কথা ছিল৷ মানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এই পয়সাটি সেই দেশের যে কোনও প্রান্তে চালু থাকবে৷ তবে ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের নেতৃত্বে এই পয়সাটি আত্মপ্রকাশই হয়নি৷ উলটে সব সোনার পয়সা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল৷ শুধুমাত্র দু’টি সোনার কয়েন পাঠানো হয় স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউট৷ এই কয়েনটি এটি আইনিভাবে বৈধ হওয়াযর জন্যই বিরল৷
এই পয়সাটির একদিকে লেডি লিবার্টির ছবি রয়েছে এবং অন্যদিকে রয়েছে ইগল পাখির ছবি৷ এই সোনার পয়সা বিক্রি নিঃসন্দেহে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে৷ কথায় বলে মরা হাতি লাখ টাকা৷ আর এক্ষেত্রে পুরনো পয়সার দাম কোটি টাকা ধার্য হল৷ বিক্রির আগেও এর একটা দাম ধার্য হলেও, সেটা অবশ্যই এত বেশি নয়৷ কারণ কেউ ভাবতেই তো পারেনি যে, এত বিপুল পরিমাণ টাকায় বিক্রি হতে পারে এই কয়েনটি৷ এটি সামান্য ছোট্ট সোনার পয়সা হলেও, এটি যেমন তেমন পয়সা নয়, বিরল৷ তাই এত দাম মিলল৷