রিয়াধ: মেয়েদের টুইটার, ফেসবুকের মত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা আইনত অপরাধ সেই দেশে। আর সেই আইন উপেক্ষা করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করায় সৌদি আরবের এক মহিলাকে পেতে হল চরম শাস্তি। জানা যাচ্ছে শুধুমাত্র টুইটার ব্যবহার করার অপরাধে ঐ মহিলাকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সৌদি আরবের আদালত। তার একমাত্র অপরাধ টুইটারের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে তিনি নারীদের অধিকার নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
জানা যাচ্ছে, সাজাপ্রাপ্ত ওই মহিলার নাম সালমা আল সেহাব। বর্তমানে তিনি ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন। সালমা একজন বিবাহিত মহিলা এবং দুই সন্তানের মা। সেইসঙ্গে টুইটারেও তিনি বেশ জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে তাঁর আড়াই হাজারেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে বলে খবর। এমতাবস্থায় নারীদের অধিকার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলায় তাঁর উপর নজর পড়ে রক্ষণশীল সুন্নি মুসলিম সমাজের শীর্ষ নেতাদের। এরপরেই সালমার বিরুদ্ধে সরব হয় স্থানীয় প্রশাসন।
২০২১ সালে জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকার কারণে সৌদি আরবে তিনি যখন বেড়াতে এসেছিলেন তখনই সালমাকে গ্রেফতার করা হয়। সেই বছরের জুন মাসে তাঁকে ৬ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎই ২০২২-এর আগস্ট মাসে তাঁর শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ছ বছরের পরিবর্তে ৩৪ বছর করা হয়েছে বলে খবর। এখানেই শেষ নয়, জানা যাচ্ছে আদালতের নির্দেশে ৩৪ বছর কারাদণ্ড ভোগের পরবর্তী ৩৪ বছর সালমা কোনও বিদেশ যাত্রা করতে পারবেন না। সম্প্রতি এই খবর প্রকাশে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। লন্ডনের একাধিক মানবাধিকার সংস্থা ইতিমধ্যেই সালমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং সৌদির এই রায়কে হাস্যকর বলে দাবি করেছে।