মস্কো: হিসেব করে দেখতে গেলে কার্যত এক রাতের সিদ্ধান্তেই ইউক্রেনে হামলা চালানো হয় রাশিয়ার পক্ষ থেকে। টানা প্রায় ২০ দিন হলেও সেই যুদ্ধ এখনও থামেনি। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশের এই সিদ্ধান্ত সত্যিই অবাক করেছিল বাকি দেশগুলিকে। তীব্রভাবে সমালোচিতও হয়েছে রাশিয়া বিশ্ব মঞ্চে। হঠাৎ কেন এই হামলা, তার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ, সেই নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। তর্ক হয়েছে। কিন্তু এখন বাকি সবকিছু ছাপিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। দাবি করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ মানসিক বিকৃতি থেকেই এই আক্রমণ চালিয়েছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ।
আরও পড়ুন- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে যেতে পারে! বাইডেনের মন্তব্যে আশঙ্কার ঝড়
ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মেল দাবি করেছে, রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের মস্তিস্ক বিভ্রাট হয়েছে ডিমেনশিয়ার কারণে। ক্যানসারের চিকিৎসার কারণে পুতিনের দেহে যে বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড প্রয়োগ করা হয়েছিল, তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে রুশ প্রেসিডেন্টের যাবতীয় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাঁর মুখ-গলা ফুলে যাচ্ছে। এদিকে এক আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে, সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্টের অস্বাভাবিক আচরণ দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ফুটেজে। এমনকি কোনও বৈঠকেও তিনি নিজেকে অন্যদের থেকে ‘অস্বাভাবিক’ দূরত্বে রাখছেন। কাউকেই বেশি কাছে আসতে দিচ্ছেন না। তারা এও দাবি করেছে যে, খোদ রাশিয়ান আধিকারিকরাও মনে করছেন যে, বিগত কিছু বছরের তুলনায় রুশ প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন এসেছে।
এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই দাবি করা হচ্ছে, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট হয়তো আর নিজের মধ্যে নেই। যে স্টেরয়েড তিনি নিচ্ছেন তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্যই তাঁর মানসিক এবং শারীরিক বিকৃতি ঘটছে। ওজন বেড়ে যাচ্ছে, শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে, এমনকি কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে তারা। বুদ্ধিমত্তার অভাব তৈরি হচ্ছে পুতিনের।