যত দিন যাচ্ছে ততই টুইটারের নয়া মালিকানা নিয়ে তৈরি হচ্ছে জটিলতা। গত মাসেই জানা যায় জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়ার ৪০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের তথা টেসলা প্রধান এলন মাস্ক। সেই সময় টুইটারের মালিকানা পরিবর্তনের কাজ পর্যন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। এর ফলে টুইটারের নতুন মালিকানাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বহু জল্পনা। এই জল্পনার মধ্যেই গত ১৩ মে টুইটার প্রসঙ্গে তাঁর নতুন মালিক এলন মাস্ক নিজেই ঘোষণা করেন যে, বিশেষ কিছু কারণের জন্য সাময়িকভাবে টুইটার কেনার কাজ মুলতুবি রাখা হয়েছে। এরপর থেকেই কবে এলন মাস্কের সঙ্গে টুইটারের চুক্তি পাকাপাকিভাবে স্বাক্ষরিত হবে কিংবা আদৌ এই চুক্তি হবে কিনা সেই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এক জল্পনা।
এমতাবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে জানা গেল, টুইটারের ভুয়ো গ্রাহক প্রসঙ্গে টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন টেসলা কর্ণধার। এই প্রসঙ্গে এদিন একটি টুইটবার্তায় মাস্ক নিজেই লেখেন, ‘সামাজিক এই যোগাযোগ মাধ্যমটিতে ৫ শতাংশেরও কম ভুয়ো গ্রাহক রয়েছে, এটা যতক্ষণ না পর্যন্ত সংস্থার সিইও প্রমাণ করতে পারছেন এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রমাণ দেখাতে পারছেন ততক্ষণ পর্যন্ত টুইটার কেনার প্রক্রিয়া এগোবে না। এ প্রসঙ্গে আরও জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই ভুয়ো গ্রাহক নিয়ে মাস্কের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছেন টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তাঁদের এই সংঘাতের কারণে সংস্থার মালিকানা বদল প্রক্রিয়া পর্যন্ত ভেস্তে যেতে পারে বলে খবর।
উল্লেখ্য, টুইটার কেনার প্রথম থেকেই এই সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়ো গ্রাহক প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে টেসলার কর্ণধারকে। এই প্রসঙ্গে গত ১৩ মে মাস্ক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ভুয়ো অ্যাকাউন্টধারীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়ার জন্যই টুইটার কেনার সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।’ মাঝখানে টুইট বার্তায় পাল্টা জবাব দিয়ে এবং মাস্কের এই ভুয়ো গ্রাহকের অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়ে সোমবার টুইটারের সিইও পরাগ আগড়ওয়াল দাবি করেছিলেন যে, জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্টধারীদের সংখ্যা ৫ শতাংশেরও কম। এরপরেই মঙ্গলবার টুইটারের সিইওকে কার্যত এক হাত নিয়ে টেসলার কর্ণধার পাল্টা টুইট বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘টুইটারে ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কুড়ি শতাংশ। অথচ সিইও বারবার বলছেন ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সংখ্যা নাকি ৫ শতাংশের কম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই দাবির স্বপক্ষে কোনও তথ্য প্রমাণ হাজির করা সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে এবং যতদিন না পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে কোনও তথ্য-প্রমাণ প্রকাশ্যে না আনা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত টুইটার কেনার প্রক্রিয়া এগোনো সম্ভব নয়।’