নিউইয়র্ক: নারীদের ওপর হিংসার ঘটনা নিয়ে বড় তথ্য দিল রাষ্ট্রসংঘ। যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা অবশ্যভাবে চিন্তা আরও বাড়িয়ে দেবে জনসাধারণের। এমনিতেই হিংসার ঘটনার কোনও অভাব দেখা যায় না। প্রতিদিনই কোনও না কোনও রাজ্যে বা দেশে নারীদের ওপর অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ প্রভৃতির খবর আসে। এই আবহে রাষ্ট্রসংঘের এই দাবি স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক বৃদ্ধি করে।
আরও পড়ুন- স্বামী আর প্রেমিককে নিয়ে এক ছাদের নীচে সহাবস্থান! ‘ত্রিকোণ প্রেমে’ সুখেই সংসার তাঁর
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক অ্যান্তোনিও গুত্তেরেস সম্প্রতি দাবি করেছেন, বিশ্বে প্রতি ১১ মিনিটে একজন করে মহিলা খুন হন। তবে কারা জড়িত থাকে এই ঘটনায়? তাঁর বক্তব্য, লিভিং পার্টনার বা পরিবারের সদস্যরাই বেশি জড়িত থাকেন এই খুনের পিছনে। নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রসংঘের এই দাবি বিশ্বজুড়ে মহিলাদের আতঙ্ক যে আরও বাড়াবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু নারীদের পর হিংসার ঘটনা আগের থেকে বাড়ছে কেন। রাষ্ট্রসংঘ মনে করছে, করোনা অতিমারীর পর থেকেই এই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এই সময়কালে অনেক পুরুষ আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। আর তার জন্য সৃষ্টি হওয়া মানসিক অবসাদ থেকে নারীদের ওপর হিংসা বাড়াচ্ছে তারা।
তবে শুধু শারীরিক ভাবে অত্যাচারিত নয়, মানসিকভাবেও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারীরা, এমনটাও জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। তাদের বক্তব্য, বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে নারীদের কটূক্তি করা হয় এবং সেটার পরিমাণও আগের তুলনায় বেড়েছে। এই কারণে সামাজিকভাবে মহিলারা অপমানিত হচ্ছেন এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন বলে মত।