ঢাকা: ভালোবাসার সংজ্ঞা বলতে পারবেন, ভূভারতে কেন এই পৃথিবীতে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। অনেকেই বলেন, ভালোবাসা হল একটা অনুভূতি। অনুভূতির কোনও সংজ্ঞা হয় না। এক একজনের কাছে ভালোবাসার মানে এক এক রকম। কিন্তু সেই অনুভূতি যদি দুজনের জন্য আসে, সেক্ষেত্রে একটা মানুষ কী করবেন সেই নিয়ে অনেক দ্বিমত থাকতে পারে। তবে বাংলাদেশের চন্দ্র বর্মন রনি যা করেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ার শোরগোল পড়ে যায়। পরিবারের মত নিয়ে দুই প্রেমিকা বিয়ে করেন তিনি। তবে এই সাধের সংসারে ভাঙল ধরল ২২ দিনের মাথাতেই। এক স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করলেন চন্দ্র বর্মন রনি।
নতুন সংসার পাতানোর ২২ দিনের মাথাতেই রনি মমতার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। জানা গিয়েছে, ১২ মে রনি তাঁর এক স্ত্রী মমতার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। মমতা পরিবারের তরফে অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে রনির পরিবার ও আর এক স্ত্রী তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত। যার জেরেই মমতা বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও শোনা যাচ্ছে, বিয়ের পর থেকেই এই ত্রিভুজ সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। তবে এই বিষয়ে রনি বা মমতার কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রনি বর্তমানে তাঁর আর এক স্ত্রী ইতি রানির সঙ্গে সুখে সংসার করতে চাইছেন বলে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের আটোয়ারি উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদার এলাকার বাসিন্দা রনি। উত্তর বলরামপুরের বাসিন্দা ইতি রানির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মাস ছয়েক আগে গোপনে ইতি রানিকে রনি বিয়েও করে নেন। কিন্তু এরপরেই তিনি লউত্তর লক্ষীদ্বার এলাকায় মমতা নামের এক তরুণীর প্রেমে পড়ে যান। দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন দেখা করতে আসার সময় মমতার পরিবার রনিকে আটকে রাখেন। বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে দেন। অন্যদিকে, রনির বিয়ে হয়ে যাচ্ছে শুনে ইতি রানি প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনা দেন। রনি এরপরে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মমতা ও ইতি রানিকে বিয়ে সিদ্ধান্ত নেন। তবে একমাসের মধ্যেই শেষ হয়ে ত্রিভুজ সংসার।