ওমিক্রন পরবর্তী ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি তাণ্ডব চালাবে, চিন্তায় WHO

ওমিক্রন পরবর্তী ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি তাণ্ডব চালাবে, চিন্তায় WHO

ওয়াশিংটন: ইতিমধ্যেই করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের তাণ্ডবে বেহাল অবস্থা এশিয়া এবং ইউরোপের একাধিক দেশের। ওমিক্রণের তাণ্ডবলীলায় ফের ঘরবন্দী রয়েছেন চিনের মানুষ। চলতি বছরের প্রথম দিকেই ভারতের ওপরও পড়েছিল এই ওমিক্রনের জোরালো প্রভাব। করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লাখের ঘরে পৌঁছাতে একমাসও সময় লাগেনি সেই সময়। বর্তমানে ফের রাজধানী দিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লাগামছাড়াহারে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ।এর মধ্যেই নতুন করে চিন্তার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা হু। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে হু-এর মুখপাত্র মারিয়া ভ্যান কেরখোভের একটি টুইটবার্তা। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বিশ্ব নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অমিক্রণ পরবর্তী করোনার ভ্যারিয়েন্টগুলি আরও বেশি উদ্বেগের কারণ হবে।

সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মারিয়া বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু তবুও আমি বলব করোনার বর্তমান পরিস্থিতি অনেক বেশি বাস্তব এবং নির্ভরযোগ্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার উপলব্ধ সমাধানও রয়েছে। যদিও ওমিক্রনের কারণে অনেক লোকই গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন এবং এর জেরে অনেক মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু অমিক্রণ পরবর্তী ভবিষ্যৎ আরও বেশি ভয়ঙ্কর এবং ঝুঁকিপূর্ণ।’ এর সঙ্গেই তিনি আগামী দিনে আরও কঠিন পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে এমন ইঙ্গিত রেখে বলেন, ‘ ভুলে গেলে চলবে না আমরা এখনও মহামারীর মধ্যেই অবস্থান করছি এবং এটি একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। আমরা এই মুহূর্তে করোনার নবতম ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন একাধিক গবেষণা চালাচ্ছি এবং প্রতিনিয়ত এই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। কিন্তু ওমিক্রন পরবর্তী পরিস্থিতি কি হতে চলেছে সেই সম্পর্কে ইতিমধ্যেই একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে যা উদ্বেগের প্রধান কারণ।’

সেইসঙ্গে এদিন তিনি আবারও করোনা টিকার গুরুত্ব এবং সেটি সবার কাছে যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছে দেওয়া জরুরি দাবি করে বলেন, ‘একমাত্র করোনা টিকাই পারে এই বিপদের হাত থেকে আমাদের জীবন বাঁচাতে। আর তাই এটি যারা গ্রহণ করেছেন তাঁদের জীবন অনেকাংশেই বেঁচেছে শুধুমাত্র এই টিকার জন্য। সমীক্ষায় দেখা গেছে বেশিরভাগ মানুষ যারা এই ভাইরাসের কারণে মারা গিয়েছেন তাঁরা হয় তাঁদের টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেননি অথবা তাঁরা করোনার একটিও টিকা নেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − four =