যৌবন ধরে রাখতে ১৬ বছর ধরে নিজের মূত্রপান করছেন এই যুবক, হতভম্ব বিশ্ব

যৌবন ধরে রাখতে ১৬ বছর ধরে নিজের মূত্রপান করছেন এই যুবক, হতভম্ব বিশ্ব

ব্রিটেন: বয়স প্রায় ৩৫ ছুঁই ছুঁই। এক কথায় বলতে গেলে যৌবন শেষের একেবারে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু এত সহজে কি নিজের যৌবন হারিয়ে যেতে দিলে হয়? আর তাই আজীবন নিজের যৌবন এবং সতেজ চেহারা ধরে রাখতে অদ্ভুত এক পন্থা অবলম্বন করেছেন ইংল্যান্ডের বাসিন্দা হ্যারি ম্যাটাদিন। আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র নিউইয়র্ক পোস্টে সম্প্রতি হারির নামের ওই ব্যক্তির এক অবিশ্বাস্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে জানা গিয়েছে নিজের যৌবন ধরে রাখতে এবং নিজেকে অবসাদের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্রিটেনের এই যুবক প্রায় ১৬ বছর ধরে নিজেরই মূত্রপান করছেন। হ্যারি প্রত্যেকদিন সকালে নির্দিষ্ট একটি পরিমান মূত্র পান করেই নিজের দিন শুরু করেন বলে খবর। তিনি জানিয়েছেন, এটা যদি কেউ করতে পারে নিয়ম করে তাহলে খুব সহজেই তিনি অবসাদের মত সাংঘাতিক মানসিক রোগের সঙ্গেও মোকাবিলা করতে পারবেন। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবী যে, মূত্র শুধুমাত্র মানসিক স্বাস্থ্য নয় বরং সৌন্দর্য ধরে রাখতেও অবিশ্বাস্য উপকারী। আর তাই শুধু নিজের মূত্র পান করাই নয়, প্রত্যেকদিন নিয়ম করে নিজের মুখেও নিজের মুত্র মাখেন বৃটেনের ওই যুবক।

উল্লেখ্য, ভারতের আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অনেক ক্ষেত্রেই গোমূত্রের উপকারিতা কথা বলা হয়েছে এবং তা নিয়ে এই মুহূর্তে দেশে একাধিক বিতর্কও দানা বেঁধেছে। কিন্তু মানুষের মূত্র কতটা উপকারী সেই নিয়ে তথ্য দিতে এখনও পর্যন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত কোন ব্যক্তির মতামত সামনে আসেনি। কিন্তু হ্যারির দাবি মূত্র পান করে তিনি অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন ইতিমধ্যেই। তাঁর কথায়, ‘মূত্রপান করলে আশ্চর্য শান্তি অনুভব করি। নিজেই অবাক হই যে অর্থ খরচ না করে এতটা উপকার এবং সুখী কিভাবে থাকা যায়। আমার জীবন থেকে সমস্ত অবসাদ উধাও হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে মূত্র পানে সৌন্দর্য বৃদ্ধির উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘মূত্র দিয়ে মুখ ধোয়ার ফলে আমার বয়সের থেকে আমাকে প্রায় বছর দশেক ছোট দেখায়।’

তবে হ্যারির এই অদ্ভুত অভ্যাসের অনেক দামও দিতে হয়েছে। তিনি নিজেই জানিয়েছেন যে, এই অভ্যাসের কথা শুনে ইতিমধ্যেই বহু প্রিয়জন এবং বন্ধু তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। এমনকি তাঁর নিজের বোনও নাকি হ্যারির সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখেন না বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে একেবারে যে বন্ধুহীন হ্যারি তা কিন্তু নয়। ওই প্রতিবেদনেই জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই হ্যারির একটি থেরাপি ক্লাব রয়েছে, যেখানে তাঁর বন্ধুরা সকলেই এই ইউরিন থেরাপি নিয়ে থাকেন এবং বিষয়টিতে বিশ্বাস করেন। নিজের মূত্র নিয়ে এমন অদ্ভুত অভ্যাসের প্রথম দিকে নাকি ঘেন্নাও লাগেনি হ্যারির। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, লোকে যতটা খারাপ ভাবে, বিষয়টা কিন্তু ততটা খারাপ নয়। তাঁর দাবি, ‘টাটকা মূত্রে এক ধরনের প্রাকৃতিক গন্ধ থাকে। যদি আপনার শরীরে খুব বেশি টক্সিক না থাকে তাহলে সেটা খেতে খুব একটা খারাপ লাগে না।’ সেইসঙ্গে মুখে লাগানোর বিষয়েও তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন নিয়ম করে মুখে মূত্র লাগানোয় আমার ত্বক আগের থেকে অনেক বেশী সুন্দর এবং চকচকে হয়েছে। সেই সঙ্গে আমার ত্বক অনেক বেশি টানটানও হয়েছে। আমি এই মুহূর্তে নিজের মূত্র ছাড়া আর কোনও স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট আমার মুখে ব্যবহার করিনা।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 3 =