ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ফোন চুরি হয়ে গেল। ইমরান খানের দুটি ফোন। দুটি ফোন একসঙ্গে চুরি হয়ে গিয়েছে বলে জানা যায়। পাকিস্তান জুড়ে হুলূস্থূল। কিছুদিন আগেই প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে খুনের চেষ্টা হচ্ছে। তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের নাম নিয়ে প্রমাণের ভিডিও রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছিলেন। তারপরেই ইমরান খানের ফোন চুরির ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইমরান খানের অন্যতম মুখপাত্র শাহবাজ গিল জানান, শিয়ালকোট বিমান বন্দর থেকে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। বিমান বন্দরে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য কোনও ব্যবস্থা করা ছিল না। কোনও নিরাপত্তা রক্ষীও তাঁকে দেওয়া হয়নি। তবে তিনি মনে করছেন, ইমরান খানের মোবাইল চুরির নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
রবিবার ফয়সলাবাদে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, যে কোনও সময় দেশের সরকার তাঁকে খুন করতে পারে। তিনি সমর্থদের কাছে আবেদন করেন, তাঁর আশঙ্কা সত্যি হলে তাঁরা যেন আদালতে সামিল হন। জনসভায় ইমরান খান অনুরাগীদের জানান, আমি একটা ভিডিও রেকর্ড করেছি। কারণ, ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থায় দোষীরা শাস্তি পায় না। তাই এর বিচার আমি দেশের সাধারণ মানুষের হাতে ছেড়ে যাব। আমার সঙ্গে কোনও অঘটন ঘটলে দেশের মানুষ বিচার চাইবেন। এই বক্তব্যের একদিন পরেই ইমরান খানের মোবাইল চুরির ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের তৎকালীন সমস্ত বিরোধী দল একত্রে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসে। পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের সভাপতি শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বেই সমস্ত বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসেন। কিন্তু সেই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেয় ডেপুটি স্পিকার। এরপরেই পাক বিরোধীদলগুলো সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনাস্থা প্রস্তাব হয়। আর ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়। পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হলেন শাহবাজ শরিফ।