কাবুল: গত বছর ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করেছিল তালিবান। যদিও কাবুল দখল করার পর পরই নিজেদের শরীর থেকে জঙ্গিগোষ্ঠী তকমা মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু একটু সময় যেতেই নিজেদের মহিমায় ফিরে এসেছে। আর সেই কারণেই, এতদিন আফগান মহিলা ও সাধারণ নাগরিকদের অধিকার রক্ষার জন্য যেসব মন্ত্রক কাজ করত, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তালিব সরকার। তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে মহিলাদের সমস্যা শোনা বা অধিকার রক্ষার জন্য আলাদা কোনও মন্ত্রক থাকবে না।
বুধবার আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নারী কল্যান মন্ত্রকের পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা কাউন্সিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মন্ত্রক গুলো বিগত বছরগুলো ধরে আফগানিস্তানের মহিলাদের জন্য কাজ করছেন। সম্প্রতি আফগানিস্তানে বাজেট পেশ হয়। সেখানে প্রায় ৪৪০ কোটির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই খরচ কমাতেই এই মন্ত্রকগুলো তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তালিবান সরকারের ডেপুটি মুখপাত্র ইন্নামুল্লাহ সমনগানি জানিয়েছে, তালিবান সরকার সরকার মনে করছে, এই মন্ত্রকগুলোর কোনও প্রয়োজন নেই। সেই কারণেই এই মন্ত্রকগুলো তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই কারণে বাজেটে এই মন্ত্রকগুলোর জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। একেবারে এই মন্ত্রকগুলো তুলে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে এই মন্ত্রকগুলো ফিরিয়ে আনা হতে পারে। তবে এখন কোনও সম্ভাবনা নেই।
তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মেয়েদের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আফগানিস্তানে গণতন্ত্র থাকার সময় মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেত। চাকরি করতে শুরু করেছিল। স্বাধীনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। সেগুলো মেয়েদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তালিবান সরকার মেয়েদের সপ্তম শ্রেণির পর পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। এছাড়া মহিলাদের হিজাব বাধ্যতামূল করা হয়েছে।