বিয়ের পরে প্রথম শ্বশুরবাড়ি যাত্রা। সেই যাত্রা যেমন তেমন হলে চলে নাকি? আর তাই প্রথম শ্বশুরবাড়ি যাত্রাকে স্মরণীয় করে তুলতে আস্ত একখানা অ্যাটাক হেলিকপ্টারে চেপে যাত্রা শুরু করলেন তালিবান এক কমান্ডার। সেই হেলিকপ্টারে চেপে আবার নববধূকে বাড়িও আনলেন। তালিবান কমান্ডারের এহেন বধূ প্রীতি দেখে কার্যত হতবাক গোটা দেশ। কারণ যেখানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত যান নেই বলে দাবি করেছে তালিবান সরকার সেখানে তালিবানেরই এক কমান্ডার হেলিকপ্টারে চেপে শ্বশুরবাড়ি যাত্রা করছেন এই খবর নিতান্ত নিন্দাজনক। তবে তা নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই সরকারপক্ষের কারোর। আর তাই হাজার বিতর্ক সত্ত্বেও হেলিকপ্টারে চেপেই বিয়ের পর শ্বশুরকে গুনে গুনে ১২ লক্ষ আফগান মুদ্রা দিয়ে নববধূকে বাড়ি এনেছেন ওই কমান্ডার, স্থানীয় সূত্রে খবর এমনটাই।
স্থানীয় একটি সংবাদ সংস্থা খামা প্রেস সূত্রে খবর, ওই কমান্ডার তালিবানের অত্যন্ত প্রভাবশালী ‘হাক্কানী’ নেটওয়ার্ক গোষ্ঠীর সদস্য। শনিবার লোগা প্রদেশে বসেছিল তার জমজমাটি বিয়ের আসর। সেখানেই একেবারে হেলিকপ্টারে চেপে হাজির হন। সবে মিলিয়ে, যে মুহূর্তে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের হাজার হাজার সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং সামান্য খাদ্য,বস্ত্র, ওষুধের জন্য চোখের জল ফেলছেন দেশের নাগরিকরা সেখানে নিজের বিয়েতে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছেন ওই নেতা।
তবে এই প্রসঙ্গে তালিবান সরকারের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য করা না হলেও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই নেতার হেলিকপ্টার যাত্রার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে আর তারপরেই দেশজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন যখন দেশের মানুষ খেতে পারছেন না তখন সরকারের টাকায় আয়েশ করছেন তালিবানি নেতারা। তবে তালিবান সরকারের তরফ থেকে স্বভাবসিদ্ধভাবে একই কথা বলা হয়েছে যে এই ধরনের কোন ঘটনার কথা সরকারের অন্তত জানা নেই। অন্যদিকে ওই তালিবান নেতা যে জেহাদি সংগঠনের সদস্য সেই জেহাদি সংগঠনের মুখপাত্রের দাবি, তালিবান সরকারকে বদনাম করতে এটা শত্রুপক্ষের ষড়যন্ত্র।