পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বারবার জাতির উদ্দেশে বার্তা রাষ্ট্রপতির, কিন্তু দেশ চাইছে পদত্যাগ

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বারবার জাতির উদ্দেশে বার্তা রাষ্ট্রপতির, কিন্তু দেশ চাইছে পদত্যাগ

কলম্বোঃ চরম আর্থিক অনটনের জেরে দেশজুড়ে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে শ্রীলঙ্কা। ইতিমধ্যেই দেশে এতটাই অচলাবস্থা জারি হয়েছে যে আগামী দিনে যে কোনও মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের চাপে পড়ে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর থেকেই আরও বেড়েছে বিক্ষোভের ঝাঁজ। ফলে দেশজুড়ে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা, রাস্তায় নেমেছে সেনা। এমতাবস্থায় যেন-তেন প্রকারেণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গতাবায়া রাজাপক্ষে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাস্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতেও সরব দেশবাসী, কিন্তু তার মধ্যেই দেশের মানুষকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়ে বারবার জাতির উদ্দেশ্যে বার্তা রাষ্ট্রপতির। কিন্তু বিরোধীরা এখনও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতেই সরব।

উল্লেখ্য গত এপ্রিল মাস থেকে চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়ার পর থেকেই শ্রীলঙ্কার মানুষের দাবী ছিল অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে এবং রাষ্ট্রপতি গতাবায়া রাজাপক্ষেকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে দেশের নাগরিকের এই দাবিকে প্রথম থেকেই অগ্রাহ্য করে এসেছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি। এই দাবি প্রকাশ্যে আসার পরেই রাষ্ট্রপতির তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় এই মুহূর্তে পদত্যাগ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। রাষ্ট্রপতি সুরেই সুর মিলিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। কিন্তু শেষমেশ জনরোষের মুখে পড়ে গত সোমবার তাঁকে তাঁর গদি হারাতেই হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এখনও দেশজুড়ে চলছে বিদ্রোহের আগুন। এমনকি স্থানীয় সূত্রে খবর বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতির এই ঘোষণার পরেও বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি থেকে সরে আসতে অস্বীকার করেছে। এখনও তারা দেশের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছে।

অন্যদিকে গত শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ, আন্দোলনের মাত্রা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতি মুহূর্তে জাতির উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন রাষ্ট্রপতি। বুধবার রাতেও গতাবায়া রাজাপক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে হিংসাত্মক আন্দোলন ছেড়ে শান্ত থাকার জন্য দেশের সাধারণ মানুষকে আর্জি জানান। এর সঙ্গেই তিনি জানান, সংবিধান সংশোধন করে সংসদের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হবে এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’  এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলেই জানা যায় শ্রীলঙ্কার আগামী প্রধানমন্ত্রীর নাম। তার সঙ্গে  এও জানা যায় অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেতেই শপথ নেবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − eight =