বিভোক্ষকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ, কিছুক্ষণ পরেই মিলল শ্রীলঙ্কার সাংসদের দেহ

বিভোক্ষকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ, কিছুক্ষণ পরেই মিলল শ্রীলঙ্কার সাংসদের দেহ

কলম্বো:  শ্রীলঙ্কায় ক্রমশ সরকার বিরোধী বিক্ষোভ জোরাল হচ্ছে। একেই শ্রীলঙ্কা প্রায় দেউলিয়ার পথে। তারমধ্যে ক্রমাগত সরকার বিরোধী বিক্ষোভে দ্বীপরাষ্ট্রটির পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। শ্রীলঙ্কায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভে গুলি চালানোর ঘটানোয় দেশের একজন সাংসদ নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 

শ্রীলঙ্কা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অমরাকীর্থি আথুকোরালা নামের ওই সাংসদ বিক্ষোভকারীদের সামনে পড়েন। সেই সময় তাঁর গাড়ি অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ওই সাংসদ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। সেই গুলিতে দুই বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হন। যার জেরে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে। কাছের একটি বহুতলে ওই সাংসদ আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে সেখান থেকেই তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে। 

১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার পর সবথেকে অর্থনৈতিক কষ্টে দ্বীপরাষ্ট্রটি। এই সঙ্কটের জেরে দেশের সরকারকেই দায়ী করছেন শ্রীলঙ্কার মানুষ। প্রেসিডেন্ট গোয়াবায়া রাজাপক্ষের কার্যালয়ের সামনে দেশের জনগণ বিক্ষোভ করছেন। রবিবার পরিস্থিতি চরম আকারে পৌঁছে যায়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিক্ষোভের জেরে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে কারফিউ।  অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার আর্থিক অনটন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুরি, লুটপাঠের মতো ঘটনা উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের জনগণকে চাল, ডাল, দুধের মতো সাধারণ দ্রব্য কিনতে লম্বা লাইন দিতে হচ্ছে। তবে লাইন শেষে এই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সব সময় পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাহত হয়েছে জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা।  

মার্চ থেকে শ্রীলঙ্কার আর্থিক অনটন দেখা দিলেও এপ্রিল থেকে পরিস্থিতি ক্রমাগত ভয়াবহ হয়ে উঠতে থাকে।শ্রীলঙ্কায় বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার কার্যত শেষ। শুধু তাই নয়, জ্বালানি থেকে ওষুধের মতো জরুরি পণ্যের আকাল দেখা দিয়েছে। ব্যাহত চিকিৎসা পরিষেবা।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *