কিয়েভ: বাঁধভাঙা স্রোতের মতো ইউক্রেনে ঢুকে পড়েছে দুর্দমনীয় রুশ ফৌজ৷ ইউক্রেন জুড়ে চলছে ধ্বংসলীলা৷ প্রতি মুহূর্ত আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনবাসী। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আবেদনে সাড়া দিয়ে দেশ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে হাজার হাজার ইউক্রেনীয়৷ তাঁরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন৷ রুশবাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই চালাচ্ছেন। আর ময়দানে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ দেশের প্রেসিডেন্ট৷ কিন্তু জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ‘প্রাণ সংশয়’-এর আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জেলেনস্কি৷
আরও পড়ুন- সম্মুখ সমরে রাশিয়া-ইউক্রেন, এই যুদ্ধের নেপথ্য কারণ কী?
দেশ ছেড়ে পালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা৷ কিন্তু সেই প্রস্তাব না-মঞ্জুর তাঁর৷ বরং সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। কিয়েভ দখলের পথে তিনিই এখন রুশ বাহিনীর পথে সবচেয়ে বড় কাঁটা৷ তাঁকে একবার সরাতে পারলে, ইউক্রেনবাসীর মনোবলও ভেঙে পড়বে৷ আরও সহজ হয়ে যাবে কিয়েভ দখল৷ তাই তিনি যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তা একেবারেই অমুলক নয়৷ ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন জেলেনস্কির সেই আশঙ্কাকেই আরও জোরালো করল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ৪০০ জনের ভাড়াটে বাহিনীকে আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট খতম করার জন্য খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘ওয়াগনার গ্রুপ’-কে নির্দেশ দিয়েছেন।’ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পাশাপাশি আরও ২৩ জন আধিকারিকে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
ডেইলি মেলের ওই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, এই বিশেষ বাহিনী রাশিয়ার কোনও সরকারি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়৷ কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এরা মূলত ভাড়াতে সৈন্য হিসেবেই কাজ করে থাকে। ‘ওয়াগনার গ্রুপ’কে নিয়ন্ত্রণ করে পুতিন ঘনিষ্ঠ অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোজিন৷ পাঁচ সপ্তাহ আগেই মোটা টাকার বিনিময়ে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে। অত্যন্ত উচ্চমানের প্রশিক্ষণ রয়েছে এই বিশেষ বাহিনীর৷ তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে৷ যে কোনও সময় সবুজ সঙ্কেত আসতে পারে৷ হিটলিস্টের প্রথমেই নাম রয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির৷ পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী, সম্পূর্ণ মন্ত্রিসভা, কিয়েভের মেয়র কিভ ভিটালি ক্লিটসকোও রয়েছেন তালিকায়৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>