চলতি বছরের প্রথম দিকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের পর দেশের কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও গত মাসে রাজধানী দিল্লিসহ দেশের একাধিক রাজ্যে ফের লাগামছাড়া হারে বাড়তে শুরু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর তার জেরেই এবার ভারতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করল সৌদি আরব। যদিও বর্তমানে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে, এবং ফের ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে দেশের করোনা পরিস্থিতি কিন্তু তারপরেও আর নতুন কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ সৌদি। আর তাই তারা ভারতসহ মোট ১৬ টি দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, ভারত ছাড়া আরো ১৫ টি দেশে ভ্রমণে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব। ইতিমধ্যেই সৌদি আরবের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ভারত ছাড়াও লেবানন, সিরিয়া, তুরস্ক, ইরান, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লিবিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, আর্মেনিয়া, বেলারুশ এবং ভেনেজুয়েলাতে আপাতত যাতায়াত বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশের করোনার সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এবং আক্রান্তের সংখ্যাও সেভাবে বাড়েনি। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর দেখেই আগামী দিনে করোনাকে নিয়ে যাতে আর কোন বড়োসড়ো বিপদে না পড়তে হয় সৌদি আরবকে তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার।
তবে করোনার মধ্যেই নতুন কাঁটা হিসেবে দেখা দিয়েছে মাঙ্কি পক্স। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই এই ভাইরাস সংক্রমণের খোঁজ মিললেও ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১২ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কি পক্স। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতি অনুযায়ী ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১২ টি দেশের মোট ১২০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও এমন বহু মানুষ রয়েছেন যাদের মধ্যে মাঙ্কি পক্সের স্পষ্ট উপসর্গ দেখা দিলেও তাঁদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না আসায় তাঁরা স্পষ্টভাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা জানা যায়নি। আর তাই আগামীতে যে মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের সংখ্যা যে কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে সেই সম্ভাবনার কথা আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে সৌদি আরবে এখনও কোনও মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, করোনার পাশাপাশি আপাতত সৌদি আরবে মাঙ্কি পক্স সংক্রমনের উপরও নজর রাখা হচ্ছে। ফলে এই ভাইরাস রোধে আগামীতে ফের কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারে সৌদি আরব এমনটাই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।