মস্কো: সম্প্রতি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি মন্তব্য ঘিরে নতুন করে আতঙ্কের পারদ বাড়তে শুরু করেছে। রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর পরমাণবিক হামলার নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন অভিযানের মধ্যেই কলিনিগ্রাদের পশ্চিমি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধের দুই মাস পর রাশিয়ার এই বিবৃতির পর ইউক্রেনের ওপর পরমাণু হামলার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পরমাণু হামলার জেরে এক মুহূর্তে কয়েক লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। কয়েক প্রজন্ম ধরে পরামাণবিক হামলার ভয়াবহতা ইউক্রেনের বাসিন্দাদের বয়ে নিয়ে যেতে হতে পারে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্বীকার করেছে, বুধবার পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মাঝে বাল্টিক সাগরে অবস্থিত বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ থেকে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছিল। তারমধ্যে এই ব্যালেস্টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নতুন করে আতঙ্কের পার বাড়াচ্ছে। এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার সেনা নকল মিসাইল সিস্টেম, এয়ারফিল্ড, কম্যান্ড পোস্টকে নিশানা করেছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। তেজস্ক্রিয়তা ও বিষাক্ত রাসায়নিকের হাত থেকে কীভাবে বাঁচা সম্ভব, সেই বিষয়েও রুশ সেনারা মহড়া দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শতাধিক রুশ সেনা এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাশিয়া ইউক্রেন হামলা করে। একের পর এ শহর আক্রমণ করে। ফুলের মতো শহরগুলোকে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। সেনা সদস্যের পাশাপাশি ইউক্রেনের বহু সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারান। আন্তর্জাতিক একটি সংবাদসংস্থা অভিযোগ করেছে, রুশ অভিযানের জেরে দুই পক্ষের ১.৩ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লুঠতরাজের পাশাপাশি মহিলাদের ধর্ষণ, গণর্ষণ, পাশবিক অত্যাচার ও হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে শিশুদের ওপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে।