যুদ্ধের দশম দিনে ‘মানবিকতা’, বাসিন্দাদের সরতে বলে বিরতি ঘোষণা রাশিয়ার

যুদ্ধের দশম দিনে ‘মানবিকতা’, বাসিন্দাদের সরতে বলে বিরতি ঘোষণা রাশিয়ার

c803f5347c28442293082b3d672edf39

কিয়েভ: দেখতে দেখতে ১০ দিন হয়ে গিয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের। এতদিন পর্যন্ত একটিবারের জন্যও কোনও রকম বিরতি নেয়নি পুতিন বাহিনী হামলা থেকে। কিন্তু আজ হঠাৎ যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছে তারা। কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও ‘মানবিকতা’ দেখিয়েছে রাশিয়া। বাসিন্দাদের সরতে বলে এই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। মারিউপোল বন্দর শহরের বাসিন্দাদের দেশ ছাড়ার সুযোগ দিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন- প্রধান শিক্ষকের ঘুসিতে নাক ফাটল অঙ্ক শিক্ষকের, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে

জানা গিয়েছে, মস্কোর স্থানীয় সময় বেলা ১০ টা (ভারতীয় সময় বেলা সাড়ে ১২ টা)-য় এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার জন্য এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে রাশিয়ার পক্ষ থেকে। মারিউপোলের পাশাপাশি ভলনোভাখা শহরেও জারি হয়েছে এই যুদ্ধবিরতি। আসলে চলতি সপ্তাহে বেলারুশে দ্বিতীয় দফার শান্তি বৈঠক হয় দুই দেশের। সেখানেই বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আর আজ তার জেরেই এই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল রাশিয়ান বাহিনী। টানা ১০ দিন ধরে গোটা ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বাদ যায়নি কোনও জায়গা। এমনকি পরমাণু কেন্দ্রতেও হামলা করেছে তারা। লাগাতার হামলার পর আজ এই যুদ্ধ বিরতিই যেন রাশিয়ান ‘মানবিক মুখ’।

ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্র আক্রমণ করার পর পুতিন-সেনার লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর মারিউপোল। কিন্তু এটি সহ গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ওডেসাও দখল করতে পারেনি রাশিয়া। ইতিমধ্যেই এই সব অঞ্চলে অনেক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তাই বাকি যারা রয়ে গিয়েছেন তাদের নিরাপদে সরতে বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সহ খেরসনের কিছু জায়গায় নিজেদের ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে রাশিয়া। একই সঙ্গে প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের বাকি শহর। যুদ্ধের কবলে পড়ে এখন ইউক্রেনবাসীরা যেখানে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন সেখানেই যাচ্ছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্য বলছে, কিয়েভ ছাড়াও খারকিভ, ওডেসা, খেরসন, মারিউপোল এবং চেরনিহিভের মতো বড় শহর থেকেই মূলত তারা পড়শি দেশে আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছেন। তবে রাশিয়াতেও যাচ্ছেন অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *