মস্কো: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রায় এক মাস হয়েছে কিন্তু এই সংঘাত শেষ হওয়ার এখনও পর্যন্ত কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। একাধিকবার দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হলেও তাতে কোনও সমাধান হয়নি। উলটে হামলা বেড়েছে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, আলোচনা ব্যর্থ হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবেই। এই মন্তব্য ঝড় বয়ছে। এবার রাশিয়া যে মন্তব্য করল তাতে আরও উদ্বেগ বাড়ল। তারা বলে দিল, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হবে! তবে কী পরিস্থিতিতে সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে ক্রেমলিন।
আরও পড়ুন- যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেন, ভিটে মাটি ছাড়া ১ কোটি মানুষ, শরণার্থী সংকটে ইউরোপ
ইউক্রেনের একাধিক শহর এখন কার্যত ধ্বংসস্তুপ। খারকিভ, কিয়েভ, মারিউপোলের মতো শহর প্রায় নিশ্চিহ্ন। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ার হামলায়, অনেকে ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এখন আলাদা করে আবার পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছে রাশিয়া। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, আগামী দিকে পরিস্থিতি কী হতে চলেছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের যে আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু কবে পরমাণু হামলা হবে, সেটাও জানিয়ে দিয়েছে পুতিন বাহিনী। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এই মুহূর্তে পরমাণু হামলার কোনও পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই। তবে যেদিন মনে হবে যে তাদের অস্তিত্ব সঙ্কটে রয়েছে সেদিন পরমাণু হামলা চালাতে পিছপা হবে না ক্রেমলিন। এই কথা বলে আদতে কোন পরিস্থিতির কথা বলতে চাইল তারা সেটা আপাতত স্পষ্ট নয়। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের খুনের পরিকল্পনা হচ্ছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে তার সঙ্গে এর যোগাযোগ থাকতে পারে বলে অনুমান।
এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে, খুন হতে পারেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার একদল প্রভাবশালী দল রাশিয়ান প্রেসিডেন্টকে খুনের পরিকল্পনা করছে। এমনই দাবিতে শোরগোল। যারা পুতিনকে খুন করার পরিকল্পনা করছে বলে দাবি তারা এই যুদ্ধ বিরোধী এবং পুতিন বিরোধী লোক। তাদের লক্ষ্য পুতিনকে রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে অন্য কোনও ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট পদে নিয়ে আসা। তাতে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে যেমন বেরিয়ে আসা যাবে, ঠিক তেমনই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে রাশিয়া। পাশাপাশি অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কও ভাল হবে।