কলম্বো: আর্থিক সঙ্কটে শ্রীলঙ্কার অবস্থা টালমাটাল। জরুরি পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। ব্যাঙ্কে অর্থ মজুদ থাকলেও তুলতে পারছেন না সাধারণ মানুষের। ওষুধ ও জ্বালানিতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রেসিডেন্টো গোতাবায়া রাজাপক্ষের অনুরোধ মেনে প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন।
কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে বলেন, প্রেসিডেন্ট যদি বলেন পদত্যাগ করতে, তিনি করবেন। কিন্তু প্রেসিডেন্টের থেকে এখনও সেই ধরনের কোনও অনুরোধ আসেনি। দেনার দায়ে ডুবে গেছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। দেশের এই পরিস্থিতির জন্য রাজাপক্ষে পরিবারকে দায়ী করেছেন। রাজাপক্ষে পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। এরপরেই মহিন্দা রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবি আরও জোরাল হয়।
শুক্রবার থেকে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সরকারি সংগঠন সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। রেলের, বিভিন্ন পরিবহণ দফতরের কর্মীরা রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। যার জেরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। সেই বিক্ষোভ সামলাতে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে।
দেনার দায়ে কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দ্বীপরাষ্ট্র সব থেকে বেশি ঋণ চিনের থেকে ঋণ নিয়েছে। পাশাপাশি জাপান, ভারতের থেকে ঋণ নিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের কাছ থেকে শ্রীলঙ্কা ঋণ নিয়েছে। সেই ঋণ শোধ করার মতো পরিস্থিতি বর্তমানে শ্রীলঙ্কার নেই। তবে প্রতিবেশী দেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ভারত। জরুরি পণ্য ত্রাণ হিসেবে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি জ্বালানী দিয়েই শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করেছে ভারত।