ইসলামাবাদ: গদি নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। যেভাবেই হোক সেই গদি বাঁচাতে লড়ছেন তিনি। ইমরানকে ছেড়ে গিয়েছে তাঁর দলের প্রধান জোটসঙ্গী। বিরোধী দলের সঙ্গে নয়া জোট করেছে তারা। এই অবস্থায় যে কোনও মুহূর্তে তাঁর সরকারের পতন হতে পারত। কিন্তু ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে যখন আলোচনা চলছিল, তখন তিনি পৌঁছে যান রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির কাছে। তাঁর কাছে গিয়ে সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করার আর্জি জানান তিনি। সেই মতো সংসদ ভেঙে যায়। ইমরান চেয়েছিলেন ভোট হোক, কিন্তু তাঁর সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন- চরম আর্থিক সঙ্কটে শ্রীলঙ্কা, বিক্ষোভে জ্বলছে দেশ, কী ভাবে এই পরিণতি?
টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি হলেও সেই দেশের নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, আগামী তিন মাস সাধারণ নির্বাচন করানো সম্ভব নয়। তারা জানাচ্ছে, এইভাবে ভোট করানো কখনই সম্ভব হবে না। সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি ঠিকঠাক শেষ করতে সময় লাগবে। কমপক্ষে এক মাস আগে কমিশনে অভিযোগ জানাতে হয়। অভিযোগের মূল্যায়নের জন্য আরও এক মাস সময় লাগে। এছাড়াও ভোট প্রস্তুতির জন্য আলাদা সময় তো রয়েছেই। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে অন্তত তিন মাস লাগবে। তাই এই মুহূর্তে ভোট সম্ভব নয়। আসলে ইমরানের বক্তব্য ছিল, দেশের মানুষই স্থির করুন, তারা কাকে ক্ষমতায় দেখতে চান। কিন্তু আপাতত তা হচ্ছে না।
ইতিমধ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করে ইমরান জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন কূটনীতিবিদ ডোনাল্ড লু-ই তাঁর ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সরকার পতনের পরিকল্পনা করেছিলেন। এই দাবির পরেই রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ইমরান আরও জানান যে, আমেরিকায় পাকিস্তানি দূত আসাদ মাজিদকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন লু। জানিয়েছিলেন, যদি ইমরান টিকে যায়, তবে তার জন্য বড় ‘মূল্য’ চোকাতে হবে। এই ঘটনার কথাই তুলে ধরে পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন যে, পাকিস্তানের বাইরে থেকেই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।